ডেড ম্যাচ? ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে হয় না কি? এখানে বসে বুঝতে পারছি, ম্যাচটা নিয়ে কতটা উত্তাপ চড়ছে বিলেতে। এই ম্যাচ হারলে সেই ঘা-টা কিন্তু অনেক দিন থেকে যাবে। তাই নামার আগে ধোনির ভারতকে কয়েকটা ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
এক) পাক বোলিং: শনিবার কিন্তু বিশ্বের সেরা বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে হবে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের। মহম্মদ ইরফান, জুনেইদ খান, ওয়াহাব রিয়াজকে নিয়ে তৈরি পাক পেস অ্যাটাক যে কোনও ব্যাটিংকে শুইয়ে দিতে পারে। ওদের হাতে পেস- বাউন্স যেমন আছে, তেমন বলটা মুভও করাতে পারে। এ ছাড়াও আছে সম্ভবত বিশ্বের এক নম্বর স্পিনার সইদ আজমল। যে কোনও সময় ম্যাচ উইনার। |
দুই) এজবাস্টনের পিচ: এমনিতে ভাল উইকেট। কিন্তু একটা স্পঞ্জি বাউন্স থাকে। পাকিস্তানের কিন্তু একটা সাত ফুটের পেসার আছে। যে কোনও উইকেট থেকেই মহম্মদ ইরফান বাউন্স আদায় করতে পারে। আর উইকেট থেকে যদি সাহায্য পায়, তা হলে তো কথাই নেই।
তিন) বার্মিংহ্যামের আবহাওয়া: বার্মিংহ্যামে তো শুনলাম বৃষ্টি হচ্ছে। কালও সম্ভবত মেঘলা থাকবে, বৃষ্টি হতে পারে, ঠান্ডাও থাকবে। এই পরিস্থিতিতে বাউন্সের সঙ্গে সুইংও আদায় করে নেবে পাক পেসাররা। ওদের বাঁ হাতি জুনেইদ খান যেমন বল বাইরে নিয়ে যেতে পারে, তেমন ভিতরেও আনতে পারে। ভারী আবহাওয়ায় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে।
চার) ভারতের মিডল অর্ডার: এখনও টুর্নামেন্টে পরীক্ষার মুখে পড়েনি। ধোনি-রায়নারা ইংল্যান্ডের আবহাওয়া আর পিচের সঙ্গে কত দূর মানিয়ে নিতে পেরেছে, সন্দেহ আছে। শনিবার ওপেনিং জুটি তাড়াতাড়ি ফিরলে মিডল অর্ডারেরই পরীক্ষা। আমি হলে ধোনি-রায়নাকে উপরে তুলে আনতাম। সেমিফাইনালের আগে তা হলে ওদেরও ব্যাটিং প্র্যাক্টিসের সুযোগ এসে যেত। |