|
|
|
|
রেলের থানা হবে রামপুরহাটে |
নিরাপত্তা বাড়াতে রেল-পুলিশ বৈঠক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
বিহারের জামুইয়ে মাওবাদী হামলার পরে বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমানা এলাকায় রেলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তত্পর হল পূর্ব রেল। শুক্রবার রেল পুলিশের তরফে রামপুরহাট স্টেশনের ক্রিউ লবি অফিসে রেলের উচ্চ পদস্থ নিরাপত্তা আধিকারিকদের একটি মিটিং হল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রেল পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা পুলিশ, রামপুরহাটের এসডিপিও-সহ জেলার বেশ কয়েকটি থানার ওসি-রাও। রেল পুলিশের হাওড়া ডিভিশনের সুপারিন্টেন্ডেন্ট মিলনকান্ত দাস বলেন, “রামপুরহাট একটি ব্যস্ততম স্টেশন। বিহার-ঝাড়খণ্ড লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের এই এলাকাটি যথেষ্ট অপরাধপ্রবণ। শহরের কাছেই তারাপীঠের মতো জায়গা, যেখানে প্রতিনিয়ত নানা প্রকারের লোক আনাগোনা করে। এই অবস্থায় রেলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আরপিএফ, জিআরপি ও রামপুরহাট মহকুমার বিভিন্ন থানার পুলিশকে নিয়ে একটি সমন্বয় সাধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই যৌথ ভাবে এই মিটিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
সম্প্রতি বিহার-ঝাড়খণ্ড এলাকায় মাওবাদী কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। রেল পুলিশ, আরপিএফ ও রাজ্য পুলিশ যৌভ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে। তাই দূরপাল্লার ট্রেনগুলিতে জিআরপি ও রেল পুলিশের তরফে যৌথ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মিলনবাবু আরও জানিয়েছেন, মাওবাদী হামলার আশঙ্কায় রেল পুলিশের বিভিন্ন থানা, যেমন সিউড়ি, অন্ডাল, আসানসোলে সতর্কতা জারি হয়েছে। অ্যালার্ট করা হয়েছে রামপুরহাট স্টেশনকেও। |
|
বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসছেন কর্তারা। নিজস্ব চিত্র। |
রেল পুলিশের সূত্রে খবর, বর্ধমান-সাহেবগঞ্জ লুপ লাইনে এখন বিদ্যুদয়নের কাজ চলছে। সেখানে বিদ্যুতের তার চুরি ঠেকাতে আরপিএফকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। সেই সুযোগে রেলে মাওবাদীরা যাতে কোনও রকম অপরাধমূলক কাণ্ড না ঘটাতে পারে, তার জন্যই সব পক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চায়ছে রেল। তারই সূত্রে রেল রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগেরও সাহায্য চায়ছে। সম্প্রতি রামপুরহাট স্টেশন থেকে ঝাড়খণ্ডের শিকারিপাড়া থানার পিনারগড়িয়া পর্যন্ত রেল চালু হয়েছে। ওই এলাকাটি মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা বলেই চিহ্নিত। ওই এলাকাগুলিতে রেলের বিশেষ নিরাপত্ত গড়ে তুলতেও এ দিনের আলোচনায় কথা উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। অন্য দিকে মিলনবাবু জানিয়েছেন, জিআরপি-র তরফে খুব তাড়াতাড়িই রামপুরহাট ফাঁড়িকে থানায় রূপান্তরিত করার পরিকল্পনাও নেওয়া হবে। |
|
|
|
|
|