ব্যবসায়ীকে উদ্ধার, ধৃত ৪
মালদহের চাঁচল থেকে অপহৃত ট্রাক্টর ব্যবসায়ীকে পুলিশ উদ্ধার করল। চাঁচলের চন্দ্রপাড়া থেকে, মঙ্গলবার ভোরে। মাঠে একটি ঘরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। অপহরণে জড়িত সন্দেহে পুলিশ চার জনকে ধরে। ধৃতদের মধ্যে চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েতে বিদায়ী উপপ্রধানের স্বামী আছেন। অপহৃত তৃণমূল প্রার্থীর দাদা হওয়ায় ঢুকেছে রাজনীতিও। পুলিশ জানায়, ধৃতরা হল মতিউর রহমান, সুখবর রহমান, প্রবীর দাস ও মিতু দাস। সুখবর চন্দ্রপাড়ার বিদায়ী উপপ্রধান সারিফা খাতুনের স্বামী। অন্য এক অভিযুক্ত সুখবরের ভাইপো সানাউল্লা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এসডিপিও পিনাকী রঞ্জন দাস বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মুক্তিপণ পেতে অপহরণ করা হয়েছিল। এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না তা নিশ্চিত না হয়ে বলা যাবে না।”
অপহৃত জিয়াউর রহমানের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরে ভিঙোলে। চাঁচলে তাঁদের শো-রুম রয়েছে। তাঁর ভাই জেরিফুল জুলফিকার ভিঙোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী। ট্রাক্টর বিক্রির জন্য মূলত এজেন্টদের উপর নির্ভর করতে হয়। সেই সূত্রে চাঁচলের প্রবীর দাস, কলিগ্রামের মিতু দাস ও যদুপুরের শেখ সানাউল্লার শো-রুমে যাতায়াত ছিল। শুক্রবার এক ব্যক্তি ট্রাক্টর কিনবে বলে জিয়াউরকে ডেকে পাঠায় শেখ সানাউল্লা। অপহৃতর ভাই তৃণমূল প্রার্থী জেরিফুল জুলফিকার বলেন, “অপহরণকারীরা ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে। সব পুলিশকে জানানো হয়। সানাউল্লা-সহ ধৃতরা কংগ্রেস সমর্থক হওয়ায় এতে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে বলে মনে হচ্ছে।”
চাঁচল ২ ব্লক কংগ্রেস নেতা মানজারুল ইসলাম বলেন, “কেউ অন্যায় করলে আইন মেনেই শাস্তি হবে। তবে সুখবরকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ফাঁসানো হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।” এ দিন অপহৃত জিয়াউর বলেন, “মারধর ছাড়া শরীরে বিড়ির ছ্যাঁকা দেওয়া হয়। অপহরণের পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.