পঞ্চায়েতে আসন ভাগাভাগিতে সন্তুষ্ট না হয়ে পৃথক ভাবে মনোনয়ন পেশের প্রক্রিয়া শুরু করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক। মঙ্গলবার দলের জেলা সম্পাদক স্বপন তরফদার বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে অন্তত ২০-২৫টি আসন দাবি ছিল। ফ্রন্টগত ভাবে গ্রাম পঞ্চায়েতে ৫টি আসন দেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির আসন দেওয়া হয়নি। জেলা ফ্রন্টের সিদ্ধান্ত আমাদের পক্ষে মানা সম্ভব নয়। আমরা অন্তত ৪০ আসনে প্রার্থী দাঁড় করাতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” আজ, বুধবার মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে ফব মনোনয়ন পেশ করবে বলে স্বপনবাবু জানান। তার পরে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হলে তারা প্রার্থী প্রত্যাহার করার রাস্তা খোলা রাখছেন।
আসন বন্টনে ঐকমত্য হয়ে জেলা ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে বামেরা ভোট যুদ্ধে নামছেন জানিয়ে সোমবার আরএসপি সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক তথা সিপিএম সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেন। তাতে পঞ্চায়েতে ফব-র ভাগে ৫টি আসন প্রাপ্তির কথা ঘোষণা করা হয়। তার পর ২৪ ঘণ্টা না কাটতেই ফরওয়ার্ড ব্লক আসন বন্টন নিয়ে অবস্থানের কথা ঘোষণা করায় জেলায় সার্বিক বাম ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী বলেন, “আসন বণ্টন নিয়ে ফ্রন্টের বৈঠকে ফবর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ঐকমত্যে ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার পরে ওরা কী করেন,ওদের ব্যাপার।”
দক্ষিণ দিনাজপুরে দীর্ঘ কাল ধরে জেলা ফ্রন্টে ফরওয়ার্ড ব্লক ছিল না। ফবর জেলা সম্পাদককে ফ্রন্টে সামিল করে এক সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে আরএসপির আপত্তির জেরে তৈরি ওই সমস্যা রাজ্য স্তরে বাম নেতারাও মেটাতে পারেননি। ফব জেলা সম্পাদক স্বপন তরফদার আরএসপিতে ছিলেন। আরএসপি তাঁকে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কার করে। পরে তিনি জেলায় ফরওয়ার্ড ব্লকের সংগঠনকে চাঙ্গা করে জেলা সম্পাদক হন। ফব’র জেলা সম্পাদক স্বপনবাবুর অভিযোগ, “আরএসপিকে নিয়ে সিপিএম এক তরফা তালিকা ঘোষণা করে। বৈঠকে তাই বেশি আসন দাবি করি। দলে ক্ষতি করে ফ্রন্টের স্বার্থ দেখা সম্ভব নয়।” |