টুকরো খবর
হলদিয়ায় এমসিআই দল
হাইকোর্টের নির্দেশে হলদিয়া মেডিক্যাল পরিদর্শনে এলেন মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার (এমসিআই) প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার সকালেই বালুঘাটায় বি সি রায় মেডিক্যাল কলেজে এসে পৌঁছন এমসিআই-এর তিন সদস্য। একই ভবন দেখিয়ে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন নেওয়ায় বিধিভঙ্গের অভিযোগে প্রাক্তন সিপিএম সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘আইকেয়ার’ পরিচালিত এই কলেজটির অনুমোদন বাতিল করে দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় ও এমসিআই। ৩ জুলাই এই সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ। তার আগে এ দিন কলেজ পরিদর্শনে আসে প্রতিনিধিদল। ৩৩০টি শয্যার হাসপাতাল ও কলেজের পরিকাঠামো ঘুরে দেখার পাশাপাশি নথিপত্র খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধিরা। পরীক্ষা করেন অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার নথিও। বৈঠক করেন কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তবে প্রতিনিধিদল বা কলেজের তরফে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

পুরনো খবর:
শিশুমৃত্যুতে তদন্তে স্বাস্থ্য অধিকর্তা
গত চার দিনের মধ্যে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ১৩ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্তে মঙ্গলবার হাসপাতালে আসেন রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডিরেক্টর (চাইল্ড হেল্থ) পাপড়ি নায়েক। তাঁরা মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক মানবেন্দ্র ঘোষ ও হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন ও শিশু চিকিৎসকদের সঙ্গে সকালে বৈঠক করেন। পরে গোটা হাসপাতাল ঘুরে দেখেন। স্বাস্থ্য আধিকর্তা চিকিৎসদের গাফিলতি খুঁজে পাননি। তবে শিশু বিভাগে প্রচুর বাইরের লোকের উপস্থিতি দেখে তিনি অসন্তুষ্ট। শিশু বিভাগ-সহ হাসপাতালের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন।

নিষিদ্ধ হল নেশা ধরানো ব্যথার ওষুধ
নানা ধরনের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে ওষুধটি কার্যকর ঠিকই। কিন্তু একটানা কিছু দিন খাওয়ার প্রয়োজন হলে সেই ওষুধটিরই নেশা হয়ে যায় বহু রোগীর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এই ওষুধই ব্যবহৃত হয় নেশার উপকরণ হিসেবে। ডেক্সট্রোপ্রোপক্সিফিন গ্রুপের সেই ওষুধই এ বার নিষিদ্ধ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। এ রাজ্যেও মঙ্গলবার থেকেই এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তারা জানিয়েছেন, বিদেশে বহু জায়গায় এই ওষুধটি আগেই নিষিদ্ধ হয়েছে। এ দেশেও ওষুধটি নিষিদ্ধ করার দাবিতে কয়েক বছর আগে থেকেই বিভিন্ন সংগঠন সক্রিয় হয়েছিল। যে-কোনও ব্যথার ওষুধই টানা কিছু দিন খেলে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই ওষুধের ক্ষেত্রে সাধারণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো ছিলই। সেই সঙ্গে তার নেশার দিকটি নিয়ে বিভিন্ন মহল উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিল। ২০১১ সাল থেকে ওষুধটি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে। কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল সূত্রের খবর, প্রথমে ফার্মাকো ভিজিল্যান্স কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। তার পরে টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি বোর্ড এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেছে কেন্দ্রের কাছে। সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই ওষুধটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ দেশে মোট পাঁচটি সংস্থার তৈরি এই যৌগের ওষুধ বাজারে রয়েছে। তার মধ্যে দু’টি খুবই প্রচলিত। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোলের অধিকর্তা চিন্তামণি ঘোষ জানান, যে-ওষুধ এখন বাজারে রয়েছে, আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে তা বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন তাঁরা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.