গত ডিসেম্বর মাসে নতুন চিকিৎসক আসার পরে বদলে গিয়েছিল গ্রামীণ হাসপাতালের চেনা ছবিটা। ‘রেফার’ কমে গিয়েছিল অনেক। তাই আচমকা সেই চিকিৎসককে বদলি করে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছে শুনে ঘরে বসে থাকতে পারেননি এলাকাবাসী। মঙ্গলবার দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে এসে বিএমওএইচকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন রীতিমতো। খবর পেয়ে এলেন স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। শেষমেশ এলাকাবাসীর দাবি মেনে চিকিৎসক তন্ময় সেনকে রেখে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন তাঁরা।
|
তন্ময় সেন।
—নিজস্ব চিত্র। |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “ওটা ঠিক বদলির অর্ডার ছিল না। ঘাটালের বীরসিংহ ব্লক হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব থাকায় সাময়িক ভাবে যেতে বলা হয়েছিল ওই চিকিৎসককে। তবে, এলাকাবাসী তা চাইছেন না যখন, ওই হাসপাতালে অন্য চিকিৎসককে পাঠানোর কথা ভাবছি।” ঘাটালের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবদুলাল মুখোপাধ্যায় জানান, আপাতত সাত দিন তন্ময়বাবু বীরসিংহ হাসপাতালে ডিউটি করবেন। তারপর ফের দাসপুরে ফিরে আসবেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত ডিসেম্বরে মোহনপুর থেকে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে যোগ দেন তন্ময়বাবু। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, তিনি আসার পর সামগ্রিক ভাবে হাসপাতালে চিকিৎসার মান বেড়েছে। দাসপুরের মানস বসু, মামুদপুরের দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, রাধানগরের অঞ্জলি ভৌমিকরা বলেন, “ডাক্তারবাবু কাউকে ফেরান না। এই সামান্য পরিকাঠামোর মধ্যেই রোগীদের সারানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেন। তাই আমরা তাঁকে ছাড়তে রাজি নই।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভালবাসা পেয়ে খুশি তন্ময়বাবুও। তিনি বলেন, “খুব ভাল লাগছে। আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।” |