চিকিত্সার গাফিলতিতে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভাঙচুর চালালো জনতা। ঘটনাটি মঙ্গলবার বিকেলের।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বসিরহাটের কাতরি গ্রামের বাসিন্দা সুদীপ্ত ঘোষ (২৩) এ দিন বিকেলে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর সঠিক চিকিত্সার অভাবে সুদীপ্তের মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে হাসপাতালে চড়াও হয় গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের দরজা-জানলা ও আসবাবপত্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে যান ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সর্বজিত মুখোপাধ্যায়, টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। আসে পুলিশ। পরে রোগীর আত্মীয় ও চিকিত্সকদের মধ্যে আলোচনায় সমস্যা মেটে। দেহটি ময়না-তদন্তের জন্য বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুদীপ্ত স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। এ দিন বিকেলে তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
টাকি হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ, সুদীপ্তকে ভর্তি করার পরও তাঁর চিকিত্সা হয়নি। হাসপাতালে উপস্থিত থাকা এক মহিলা চিকিত্সককে বিষয়টি জানানোর পরেও তিনি ‘এখন আমার ডিউটি নয়’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ওই হাসপাতালেরই চিকিত্সক সর্বজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “বিষ খাওয়া রোগীর জন্য যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, এই ক্ষেত্রেও সেই ব্যবস্থাই নেওয়া হয়েছিল। রোগী চিকিত্সায় প্রাথমিক ভাবে সাড়াও দিয়েছিলেন। উপস্থিত চিকিত্সক যখন অন্য একজন রোগীকে দেখতে যান তখনই মারা যায় সুদীপ্ত। টাকির পুরপ্রধান সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “টাকি হাসপাতালে চিকিত্সকের সংখ্যা কম। অবিলম্বে এই সমস্যা মেটানোর জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি।” |