মোবাইল ও ল্যান্ড লাইনের পরিষেবা না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পুরুলিয়ার অসংখ্য গ্রাহককে। পঞ্চায়েত নিবার্চনের প্রস্তুতি পবে বিএসএনএলের এহেন পরিষেবায় বিরক্ত প্রশাসনিক কর্তারাও। এই অবস্থার মধ্যে গত শনিবার থেকেই আদ্রা ও রঘুনাথপুর এলাকায় বিএসএনএলের দফতরের চার আধিকারিক অনুপস্থিত থাকায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
রবিবার থেকে কাশীপুর এলাকায় ফোন পরিষেবা বিপর্যস্ত। কাশীপুরের বিডিও তপন ঘোষাল বলেন, “বিএসএনএলের পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ। দু’দিন ধরে মোবাইলে সিগন্যাল নেই।” এলাকার সিপিএম নেতা গোবর্ধন শীলের ক্ষোভ, “বিএসএনএলের পরিষেবা নিয়ে যত কম বলা যায়, ভাল। কাউকে যে বলব, কারও দেখাই নেই! অথচ এখানে দফতরের একটা এক্সচেঞ্জ রয়েছে।” স্থানীয় বিধায়ক স্বপন বেলথরিয়ার ক্ষোভ, “কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগে প্রচণ্ড অসুবিধে হচ্ছে। তাঁরাও আমাকে পাচ্ছেন না।” জেলা টেলিকম ম্যানেজার বিপ্লবতরঙ্গ মল্লিক জানান, রঘুনাথপুরের মহকুমা টেলিকম আধিকারিক বিজন পণ্ডিত-সহ চার আধিকারিক (তিন জন জেটিও) অনুপস্থিত। তাঁরা ছুটিতে রয়েছেন নাকি অন্য কোথাও দফতরের কাজে গিয়েছেন, তার কোনও খবর নেই। তিনি বলেন, “এক সঙ্গে এত জন নেই বলেই পরিষেবায় সমস্যা হয়েছে। কেন তাঁরা নেই, তা জানতে চেয়ে তাঁদের শো-কজ করা হচ্ছে।” বিজনবাবুর মোবাইলও স্যুইচ অফ। অন্য দিকে, মঙ্গলবার পুরুলিয়া শহরে দেশবন্ধু রোডের বিএসএনএল অফিসে কে বা কারা হামলা চালায় বলে অভিযোগ কর্মীদের। বিএসএনএল এগজিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, “বাইরের কিছু লোক দফতরে ঢুকে গালিগালাজ দিতে থাকে। পরে তারা অফিসের মধ্যে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করেন, ফাইলে জল ঢেলে দেয়।” এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ওই কর্মীরা। |