গোঁজ প্রার্থী পুরোপুরি হঠাতে পারল না পুরুলিয়া জেলা বামফ্রন্ট। গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি, এই দুই স্তরেই গোঁজ প্রার্থী রয়ে গেল।
অথচ জেলা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক মণীন্দ্র গোপ রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে গোঁজ প্রার্থীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, ফ্রন্টের বোঝাপড়ার বাইরে যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের মনোনয়ন তুলে নিতেই হবে। বস্তুত, পুরুলিয়ার ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৪৪টি আসন, পঞ্চায়েত সমিতির ৪৪৬টি আসন এবং জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনের মধ্যে কোন শরিক ক’টি আসনে লড়বে, তার হিসেবও জানিয়ে দিয়েছিলেন জেলা ফ্রন্ট নেতৃত্ব। এ বার জোটে পিডিএসকেও সামিল করেছেন বলেও জানিয়েছিলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর প্রশাসন সূত্রে যে ছবি পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, পিডিএসের ১৭টি আসন (তারা এই পরিমাণ আসনে লড়বে বলেই জানানো হয়েছিল) ধরলে গ্রাম পঞ্চায়েতে বামফ্রন্টের মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৯৬৩। অর্থাৎ, মোট আসনের চেয়ে ১৯ জন প্রার্থী বেশি। পঞ্চায়েত সমিতিতেও একই ভাবে বাম প্রার্থী বেশি রয়েছেন মোট আসনের চেয়ে। পঞ্চায়েত সমিতিতেও অতিরিক্ত তিন জন প্রার্থী। জেলা পরিষদে অবশ্য ঘোষণা অনুযায়ীই জোট হয়েছে। সেখানে সিপিএমের ৩২ এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মণীন্দ্রবাবু বলেন, “আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে বিষয়টির মীমাংসা করে নেব। তবে জেলা পরিষদে সার্বিক ঐক্য হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ’৭৮-এর নিবার্চনের পরে এ বারই প্রথম এতটা ঐক্য হল।”
প্রশাসনিক হিসাবেই দেখা যাচ্ছে, কারও সঙ্গে জোট না থাকলেও তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েতের সমস্ত আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি। তারা পঞ্চায়েত স্তরে ১৯০৬টি আসনে এবং পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪৪১টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। কেন সব আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়নি, জানতে চাওয়া হলে দলের কাযর্করী সভাপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঝালদা ১, ঝালদা ২, বাঘমুণ্ডির মতো ব্লকে কিছু আসনে আমাদের সঙ্গে নির্দলদের জোট হয়েছে। তবে জেলা পরিষদে আমরা সমস্ত আসনেই লড়ছি।” উল্লেখ্য, কংগ্রেস গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২৪২ আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ৩৪৫ আসনে এবং জেলা পরিষদের ৩৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। |