টুকরো খবর |
কামদুনি-কাণ্ডের প্রতিবাদ, পথে ছাত্ররা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মিছিল বামপন্থী ছাত্র-যুবর।—নিজস্ব চিত্র। |
বারাসতের কামদুনির ঘটনার প্রতিবাদে পথে নামল সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠন। মঙ্গলবার বিকেলে এসএফআই- ডিওয়াইএফের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহরে এক মিছিল বেরোয়। মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। নেতৃত্বে ছিলেন ডিওয়াইএফের জোনাল সভাপতি কুন্দন গোপ, এসএফআইয়ের জোনাল সম্পাদক অসিত লৌহ, জোনাল সভাপতি সুব্রত চক্রবর্তী প্রমুখ। সুব্রত বলেন, “রাজ্য সরকার মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। একের পর এক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে চলেছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়লেও পুলিশ- প্রশাসন নির্বিকার। প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি।” ছাত্র পরিষদও এদিন ‘কালা দিবস’ পালন করে। সংগঠনের কর্মী- সমর্থকেরা কালো ব্যাচ পরেন। অন্যদেরও পরিয়ে দেন। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলেন, “রাজ্য জুড়ে মহিলাদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। দুস্কৃতীদের বিরুদ্ধে সে ভাবে কোনও পদক্ষেপই করা হচ্ছে না। ফলে, দুষ্কতীরা আরও উত্সাহিত হচ্ছে। আমাদের আহ্বান, এ সবের প্রতিবাদে সকলেই প্রতিবাদে সামিল হন। গর্জে উঠুন। তবেই সরকারের টনক নড়বে।”
|
পুরনো খবর: কলেজ-ফেরত ছাত্রীর দেহ উদ্ধার, আক্রান্ত পুলিশ |
শুরু হল ব্যালট ছাপা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
|
|
দেওয়াল লিখছেন প্রার্থীরাই। —নিজস্ব চিত্র। |
|
হাতে বেশি দিন সময় নেই। সোমবারই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়েছে। আর মঙ্গলবার থেকেই শুরু হল ব্যালট পেপার ছাপার কাজ। রীতিমতো পুলিশি প্রহরায়। মেদিনীপুর- খড়্গপুরের কয়েকটি ছাপাখানায় ব্যালট পেপার ছাপা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সবমিলিয়ে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ ব্যালট পেপার ছাপা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোটার সংখ্যা ৩৯ লক্ষ ২৬ হাজার ২৫৬। এরমধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২০ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৫৩। আর মহিলা ভোটার সংখ্যা ১৮ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬৩। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য এক- একজন ভোটারকে তিনটি করে ব্যালট পেপার দিতে হবে। সঙ্গে কিছু অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছেপে রাখাও প্রয়োজন। সবদিক খতিয়ে দেখেই তাই প্রায় প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ ব্যালট পেপার ছাপার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মেদিনীপুরের একটি ছাপাখানায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা ছাপাখানার আশপাশে নজরদারি চালাচ্ছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, “যে সব ছাপাখানায় ব্যালট পেপার ছাপা হচ্ছে, সেই সব ছাপখানার সামনেই পুলিশি প্রহরা থাকছে।”
|
প্রচার শুরু দেওয়াল লিখনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
তৈরি হচ্ছে ব্যালট, পাহারায় নিরাপত্তারক্ষীরা। —নিজস্ব চিত্র। |
তারুণ্যকে প্রাধান্য দিচ্ছে সব দল। প্রার্থী তালিকায় তাই নতুন মুখের ছড়াছড়ি। প্রচারেও এগিয়ে তরুণরা। মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর সদর পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাসজঙ্গল এলাকার দুই যুযুধান প্রার্থীকেই রং- তুলি নিয়ে দেওয়াল লিখতে দেখা যায়। একজন তৃণমূলের মলয়কান্তি ঘোষ। অন্যজন সিপিএমের সোমনাথ চন্দ। সোমনাথ এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি। কলেজ নির্বাচনে লড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে পঞ্চায়েত এই প্রথম। মলয়কান্তি যুব তৃণমূল কর্মী। কলেজ নির্বাচনে লড়াই করার অভিজ্ঞতা নেই। তবে আগে ছাত্র সংগঠনের তরফে নির্বাচনের কাজকর্ম দেখভাল করেছেন। দু’জনই মঙ্গলবার প্রথম দেওয়াল লেখার কাজে হাত দিলেন। সোমনাথ বলছিলেন, “প্রচারের অনেক কাজ বাকি। দেওয়াল লেখার কাজটা শুরু করলাম।” প্রতিপক্ষ মলয়কান্তির কথায়, “প্রচারের সব প্রস্তুতিই নিচ্ছি। মাঝেমধ্যে আকাশ মেঘলা হচ্ছে। যখন তখন বৃষ্টি নামতে পারে। বৃষ্টি হলে দেওয়াল লেখা যাবে না। তাই আগেই দেওয়াল লেখার কাজে হাত দিলাম।”
|
হুমকি দিয়ে গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বিরোধী দলের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৪ জন তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পিংলা থানা এলাকার করকাই গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল ধৃতদের বিরুদ্ধে। ধৃতদের মধ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দীপক মাইতিও রয়েছেন। করকাই গ্রামে সিপিএম ও কংগ্রেস প্রার্থীদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছিল কয়েকজন। সোমবার রাতে ভুসুনিয়া থেকেও ২ জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধেও প্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। ওই দুই ধৃতও তৃণমূল সমর্থক বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। |
|