ডুয়ার্সের মরাঘাটে ট্রেনের ধাক্কায় জখম হাতির মৃত্যু হল। মঙ্গলবার বিকালে ডুয়ার্সের গরুমারায় আহত হাতিটি মারা যায়। এতে গত ৩০মে ডুয়ার্সের বানারহাটের কাছে মরাঘাটে মহানন্দা এক্সপ্রেসের ধাক্কায় হাতিমৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ-এ। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তিনটি হাতির। ঘটনার তিন দিন পর মরাঘাটের জঙ্গল থেকে আরেকটি মৃত হাতির দেহ উদ্ধার করেন বন কর্মীরা। জখম এক হাতিকে গরুমারায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়। প্রথম দুদিন সামান্য খেলেও পরের দিকে খাওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় হাতিটির। জলপাইগুড়ির ডিএফও বিদ্যুৎ সরকার জানান, হাতিটির কোমর ভেঙে যাওয়ায় বিপত্তি বেড়েছিল। আহত হাতিটির মৃত্যুর খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনও। তিনি এই দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, “বন দফতরের পক্ষ থেকে হাতিটির চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া মিলল না।” হাতিটির মারা যাওয়ার খবরে রেলের তরফেও দুঃখপ্রকাশ করা হয়। আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম বীরেন্দ্র কুমার জানান, ওই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠিত হয়। আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ভাবে হাতির মৃত্যু সত্যিই দুঃখজনক। আমরা বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছি।
২০০৪, সালে ডুয়ার্সের রেল লাইনটি ব্রডগেজ হওয়ার এখনও অবধি ট্রেনের ধাক্কায় ৪৩টি হাতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। এ ছাড়া ৫০টির বেশি বাইসন, হরিণ, অজগরের মতো বন্যপ্রাণেরও মৃত্যু হয়েছে। পরিবেশ প্রেমী সংগঠন ন্যাফ-এর মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “রেলে লাইনে হাতি মৃত্যুর মিছিল ক্রমশই লম্বা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে না। কেবল আলোচনাই হচ্ছে।”
|