টুকরো খবর
কয়লা কাণ্ডে অভিযুক্ত জিন্দল, প্রাক্তন মন্ত্রী
কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের অস্বস্তিতে কংগ্রেস। আজ ওই কেলেঙ্কারি নিয়ে নতুন এফআইআর করেছে সিবিআই। তাতে অভিযুক্ত হিসেবে কংগ্রেস সাংসদ নবীন জিন্দল ও প্রাক্তন কয়লা প্রতিমন্ত্রী দসারি নারায়ণ রাওয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আজ নয়াদিল্লি ও হায়দরাবাদে জিন্দল এবং রাওয়ের বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছে সিবিআই দল। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ দেওয়া-নেওয়া ও ফৌজদারি নিয়মভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। রাও ও জিন্দলের কয়েকটি সংস্থাকেও অভিযুক্তের তালিকায় রেখেছেন তদন্তকারীরা। সিবিআইয়ের অভিযোগ, জিন্দলের সংস্থাকে কয়লাখনি পাইয়ে দেওয়ার বদলে ২ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেন তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী রাও।
নবীন জিন্দলের বাড়িতে তখন চলছে সিবিআই তল্লাশি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পিটিআই।
ঝাড়খণ্ডে ওই কয়লাখনি হাতে পেতে জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড ও গগন স্পঞ্জ আয়রন লিমিটেড মিথ্যা তথ্য দিয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে রাওয়ের সংস্থা সৌভাগ্য মিডিয়ার বেশ কিছু শেয়ার বিপুল দামে কেনে জিন্দলের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়াদিল্লি এক্সিম লিমিটেড। অথচ তখন বাজারে সৌভাগ্য মিডিয়ার শেয়ারের দাম ছিল অনেক কম। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ওই পথেই রাওকে ঘুষ দেওয়া হয়। কয়লাখনি বণ্টনে অনিয়ম নিয়ে প্রথমে সরব হয় কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল। যে সময়ে কয়লা মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ফলে, তাঁকে আক্রমণের সুযোগ পেয়ে যায় বিরোধীরা। আজ জিন্দল ও রাওয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়াকে স্বাগত জানায় বিজেপি। তবে দলীয় মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকরের বক্তব্য, “কেবল তল্লাশি চালালেই হবে না। প্রাক্তন কয়লা সচিবের নামও তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখতে হবে।” জাভড়েকরের দাবি, কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্ত সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে চলা সত্ত্বেও কেন্দ্র বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। জিন্দল স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড জানিয়েছে, তারা সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।

পুরনো খবর:
প্রয়াত বিদ্যাচরণ শুক্ল
মারা গেলেন মাওবাদী হামলার শিকার কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিদ্যাচরণ শুক্ল। ৮৪ বছর বয়সী এই নেতার কোনও অঙ্গপ্রত্যঙ্গই কাজ করছিল না। তাঁর বুকে, পেটে এবং পায়ে গুলি লেগেছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এত বয়সে ওই মারাত্মক আঘাত সহ্য করতে পারেননি তিনি। ছত্তীসগঢ়ের বিজেপি সরকার বিদ্যাচরণের মৃত্যুতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। তাঁর মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধীও শোক প্রকাশ করেছেন। প্রবীণ নেতার মৃত্যুর জেরে ময়দানে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। তারা বোঝাতে চাইছে ছত্তীসগঢ় সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার জন্যই বিদ্যাচরণের মতো নেতা প্রাণ হারালেন। যে পরিবর্তন যাত্রায় মাওবাদী হামলার ফলে বিদ্যাচরণ নিহত হলেন, সেই পরিবর্তন যাত্রা ফের শুরু হবে ১৬ জুন। তাতে থাকবেন রাহুল গাঁধী। আইনজীবী, স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং কংগ্রেস নেতা রবিশঙ্কর শুক্লর পুত্র বিদ্যাচরণ পুনগর্ঠিত মধ্যপ্রদেশের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। লোকসভায় ন’বার নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইন্দিরা গাঁধীর সরকারের বিতর্কিত জরুরি অবস্থার সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ছিলেন বিদ্যাচরণ। আশির দশকের শেষের দিকে যোগ দেন ভি পি সিংহের সঙ্গে। তাঁর সরকারেও মন্ত্রী হন। পরে মন্ত্রিত্বে থাকার জন্য চন্দ্রশেখরের সরকারেও ছিলেন। আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন নরসিংহ রাওয়ের জমানায়।

পুরনো খবর:
জেল থেকে পালাল জঙ্গি নেতা
জেল থেকে পালাল দুই বিচারাধীন বন্দি। আজ ভোরে ডিমা হাসাও জেলার হাফলঙে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সূত্রের খবর, পলাতক বন্দিদের মধ্যে রয়েছে ‘ডিমা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট’-এর স্বঘোষিত সেনাধ্যক্ষ ডেভিড কেমপ্রাই ওরফে অ্যাকশন ডিমাসা। অন্যজন তারই সংগঠনের সদস্য বঙ্গীচরণ খেলমা। পুলিশ জানায়, জেলের কুঠুরির ছাদ ‘ভেঙে’ই দু’জনে পালিয়েছে। আজ সকালে বিষয়টি টের পান কারারক্ষীরা। জেলা পুলিশ সুপার মুগ্ধজ্যোতি মহন্ত জানিয়েছেন, যে সব রক্ষীর গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জেলাশাসক এম কে দাস জানান, হাফলঙ জেলের পরিকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। বন্দিদের তুলনায় কারারক্ষীর সংখ্যা কম। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০০৮ সালের ডিসেম্বরেও ওই জেল থেকে বন্দি পালানোর ঘটনা ঘটেছিল। বাইরে থেকে লুকিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে বন্দিদের একাংশ। সুযোগ বুঝে গুলি চালাতে চালাতে জেল ভেঙে পালিয়েছিল তারা।

ঠিকাকর্মীদের খোঁজে বৈঠক
মিজোরামে আন্তর্জাতিক সীমান্তে সপ্তাহখানেক আগে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে গিয়ে অপহৃত তিন কর্মীর খোঁজ এখনও মেলেনি। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই কর্মীদের মুক্তিপণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সংস্থার কাছে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা। আজ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র সঙ্গে ফ্ল্যাগ মিটিং করে বিএসএফ। প্রতিবেশী দেশের রক্ষীরা অপহৃতদের সন্ধানে তল্লাশি চালানোর আশ্বাস দিয়েছে। মণিপুরের পুলিশ প্রধান এ কে ভার্মা বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, এই ঘটনায় ‘ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব তুইপ্রা’ (এনএলএফটি) জড়িত। অপহৃতদের বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।

দেড় ঘণ্টা সুড়ঙ্গে আটকে দিল্লি মেট্রো
সকালের ব্যস্ত সময়ে সুড়ঙ্গে ধোঁয়া। যাত্রীদের আতঙ্ক। সব মিলিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে গেল মেট্রো। তবে এ বার ঘটনাস্থল দেশের রাজধানী দিল্লি। সকাল পৌনে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট ও উদ্যোগ ভবনের মাঝে। দিল্লি মেট্রো সূত্রে খবর, এ দিন জাহাঙ্গিরপুরী ও হুদা সিটি সেন্টারের মধ্যে একটি মেট্রোর ব্রেক-শ্যু আটকে যায়। ফলে সুড়ঙ্গের মধ্যেই দাঁড়িয়ে যায় ট্রেনটি। অফিসের ব্যস্ত সময়ে ওই ঘটনা ঘটায় আটকে পড়েন কয়েক’শো যাত্রী। ট্রেন এ ভাবে থেমে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বেশ কিছু সময় পরে আপৎকালীন দরজা খুলে যাত্রীদের নামিয়ে সুড়ঙ্গ দিয়েই কাছের স্টেশনে নিয়ে আসা হয়।

সাত দিন ধরে ধর্ষণ তরুণীকে
পঞ্জাবের মোগায় কুড়ি বছরের এক তরুণীকে অপহরণ করে এক সপ্তাহ ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, কপিল দেব নামে ওই যুবক লোহগড় গ্রামের ধর্মকোট বাসস্ট্যান্ড থেকে তরুণীটিকে অপহরণ করে শিমলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে লুধিয়ানার জাগরাও এলাকায় নিয়ে গিয়েও তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। গত সোমবার লোহগড়ের কাছেই এ মেয়েটিকে ফেলে দিয়ে পালায় কপিল। কপিলের বাবা-মা এবং এক আত্মীয়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, গোটা ঘটনায় কপিলকে ইন্ধন জুগিয়েছে এই তিন জন।

জখম মাওবাদী
নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে এক মাওবাদী জঙ্গি জখম হয়েছে। আজ রায়গড়ের পঞ্চকুড়ির জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, আহত জঙ্গির নাম পরিয়া কৃত্তিকা। বছর পঁয়ত্রিশের ওই মাওবাদীকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেলার পুলিশ সুপার রাজেশ পণ্ডিত জানান, জঙ্গিঘাঁটির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল নিরাপত্তাবাহিনী। আচমকা মাওবাদীরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা জবাবে পালায় জনাবিশেক জঙ্গি।

এনডিএফবি জঙ্গি নিহত
সেনা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে সর্ংঘষে মৃত্যু হয়েছে এক জন আলোচনা বিরোধী এনডিএফবি জঙ্গির। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রশস্ত্র। মঙ্গলবার ভোরে কোকরাঝাড় জেলার দোতমা থানার ভুটিয়াপারা জঙ্গল লাগোয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত রিটো ব্রহ্ম ওরফে বি রফৌদ (২৭)-এর তার বাড়ি বালাঙ্গা গ্রামে। তার কাছ থেকে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও কিছু নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত
লখিমপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম দু’জন। পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে সেখানে একটি বিদ্যুতের খুঁটি থেকে তার ছিঁড়ে পড়েছিল। আজ ওই তারেই তড়িতাহত হন লেখন চুটিয়া নামে এক ব্যক্তি। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হন আরও দু’জন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.