বিনা যুদ্ধে বহু হেরেও খাতা খুলল সিপিএম
শিল্পাঞ্চলে ততটা সফল না হলেও, বর্ধমানের গ্রামাঞ্চলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রচুর আসন জিতে নিয়েছে তৃণমূল। এই স্রোতের বিরুদ্ধে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তিনটি আসনে ভোটের আগে জয় পেয়েছে সিপিএমও।
বর্ধমানের মোট ৪০৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ৭৮০টিতে ও পঞ্চায়েত সমিতির ৭৭৯টি আসনের মধ্যে ১২৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে শাসকদল। জেলার মাত্র সাতটি ব্লক ছাড়া সমস্ত আসনে প্রার্থীদের টিকিয়ে রাখতে পারেনি সিপিএম তথা বামফ্রন্ট। বাকি ২৪টি ব্লকে তাদের পক্ষে হাজারের বেশি প্রার্থী দেওয়া হয় সম্ভব হয়নি, নতুবা শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা সরে দাঁড়িয়েছেন।
এর ফলে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ২৮১৪টি আসনে সিপিএম, ৯১টি আসনে সিপিআই, ৯২টি আসনে ফরওয়ার্ড ব্লক এবং ২৮টি আসনে আরএসপি প্রার্থী আছেন। বারাবনিতে নুনি পঞ্চায়েতের একটি আসন এবং গলসি-২ ব্লকে মসজিদপুর ও ষাটিনন্দী গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি করে আসনে তারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। পঞ্চায়েত সমিতির ৭৭৯টি আসনের মধ্যে ৬২১টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বামফ্রন্ট। সিপিএম ৫৬৭, সিপিআই ১৫, আরএসপি ১২ ও ফরওয়ার্ড ব্লক ২৭টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে।
বর্ধমান-২, রায়না-২ ও কেতুগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতি ইতিমধ্যেই দখল করেছে তৃণমূল। তবে জেলার সাতটি ব্লকে তারা গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কোনও আসন পায়নি। ব্লকগুলি হল অন্ডাল, সালানপুর, কালনা-২, পূর্বস্থলী-১ ও ২, কাটোয়া-২ এবং কেতুগ্রাম-২। শিল্পাঞ্চলে তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সংখ্যা তুলনায় কম। যেমন, জামুড়িয়া ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯৩টি আসনের মধ্যে ২২টিতে ও পঞ্চায়েত সমিতির ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল মাত্র ৩টিতে জিতেছে। সেখানে রায়না-২ ব্লকে ১১৯টির মধ্যে ১০৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত আসন, কেতুগ্রাম-১ ব্লকের ১১৭টির ভেতর ৮৮টি আসন, মঙ্গলকোটের ১৯৮টির মধ্যে ৬৭টি আসন, বর্ধমান-২ ব্লকের ১১৬টি আসনের মধ্যে ৬৬টি, ভাতারে ২০১টির ভিতরে ৭৫টি আসন তারা বিনা বাধায় ছিনিয়ে নিয়েছে।
এর পরেও সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার দাবি ককরেন, “মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারলে ওই সব আসনের বড় অংশে আমরাই জিতব।” আসানসোলের সাংসদ তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বংশগোপাল চৌধুরীর দাবি, “শিল্পশ্রমিক ও অসংগঠিত শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে দলের যোগাযোগ প্রত্যক্ষ ভাবে রয়ে গিয়েছে। তার ফলেই এখানে তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়ে প্রার্থী তুলে দেওয়ার খেলায় সে ভাবে সফল হয়নি।” জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর অপর সদস্য অচিন্ত্য মণ্ডলও বলেন, “গত দু’বছর ধরেই গ্রামীণ এলাকায় আমাদের উপর আক্রমণ বেশি হচ্ছিল। পঞ্চায়েতের ভোটে তা চরম আকার নিয়েছে। তাই আমাদের বহু প্রার্থী সরে গিয়েছেন।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.