কে বলল আমি শুধু ‘ভাট’য়ের ছবি করি

মুম্বইতে গতকাল থেকে তো সাঙ্ঘাতিক বৃষ্টি...
হ্যাঁ, সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ইট’স বিউটিফুল। সকাল সকাল উঠে বৃষ্টি দেখছি। এত রোম্যান্টিক। কিন্তু বেশি ক্ষণ এই বিলাসিতা করলে চলবে না। একটু পরেই বেরোতে হবে আমার পরের হিন্দি ছবির প্রচারের জন্য।

আপনি থাকেন কোথায় মুম্বইতে?
আমি আন্ধেরি ওয়েস্টে, যেখানে শপার্স স্টপ আছে, তার ঠিক পাশেই থাকি।

বাপরে, ওখানে তো ভীষণ ট্রাফিক।
মুম্বইতে ট্রাফিক কোথায় কম বলুন? তবে আমার এই জায়গাটা খুব কনভিনিয়েন্ট মনে হয়। স্টুডিয়োগুলো কাছে। আই লাইক দিস প্লেস। এই যে এখন পাবলিসিটির জন্য বেরোতে হবে, সেগুলো সব বাড়ির কাছাকাছি।

আপনার পরের ছবি তো ‘অঙ্কুর অরোরা মার্ডার কেস’?
হ্যাঁ। পরের ছবি ‘অঙ্কুর অরোরা মার্ডার কেস’। শুক্রবার রিলিজ করছে। পরিচালক সুহেল তাতাড়ি। ছবিটা মেডিকেল নেগলিজেন্সির ওপর। আমি ছাড়াও কে কে মেনন, তিসকা চোপড়ার মতো অভিনেতারা অভিনয় করেছে। দর্শকদের ভাল লাগবেই।

আপনি তো বাঙালি ক্যারেকটার প্লে করছেন?
হ্যাঁ, আমি একজন বাঙালি উকিলের চরিত্রে অভিনয় করছি। নাম কাজরী সেন।

এই ছবিটাও তো সেই বিক্রম ভট্ট প্রোডাকশন?
হ্যাঁ, এটাও বিক্রম ভট্টের প্রোডাকশন।
ছবি: ডাব্বু রত্নানি
কী ব্যাপার বলুন তো, আপনি কি বিক্রম ভট্ট ছাড়া কারও সঙ্গে কাজ করবেন না?
এটা কি অস্বীকার করতে পারবেন যে, বিক্রম ভট্ট-ই আমাকে মুম্বইতে লঞ্চ করেছিল ‘হেট স্টোরি’তে। তার পরেও বিক্রম আমাকে একটার পর একটা ভাল ছবি অফার করে চলেছে। সেখানে আমি কী করে রিফিউজ করব ওকে।
আর আমি কিন্তু শুধু বিক্রম ভট্টের ছবিতে অভিনয় করছি না। আশু তিরখা বলে এক পরিচালকের ছবি শুরু করছি। বছরের শেষেও সুভাষ সেহগালের একটা ছবি করব আমি। আমার বিপরীতে থাকছেন পরম।

কলকাতা কিন্তু অন্য কথা বলছে।
কী বলছে কলকাতা?

কলকাতার স্টুডিয়োপাড়াতে আপনার মুম্বই যাওয়া নিয়ে একটাই কথা শোনা যাচ্ছে, মুম্বইতে পাওলি শুধু ‘ভাট’য়ের ছবি করছে।
কেউ যদি এরকম কোনও কিছু বলেও থাকে আমার কানে অন্তত আসেনি। মোটেও আমি শুধু ‘ভাট’য়ের ছবি করছি না। আগেই তো আপনাকে বললাম বিক্রম ভট্ট প্রোডাকশনের বাইরেও ছবি করছি। দেখুন, আমি ভাল ছবি করতে চাই। ব্যস। এর বাইরে কোনও ক্রাইটেরিয়া আমার নেই।

আচ্ছা, কলকাতায় যে এ রকম কথা হচ্ছে, সেগুলো শুনলে রাগ হয় না?
বললাম না আমার কানে কিছু আসেনি। আর আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক খুব ভাল। আমি কোনওদিন কারওর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করিনি। করব না। আর কে কী বলল তাতে আমি রাগি না।

কিন্তু বিক্রম ভট্ট তো ,যাকে বলে বলিউডের এ-লিগ নয়। আপনাকে ভালবাসে বলেই হয়তো কলকাতার অনেকে চাইছে আপনি আরও বড় ব্যানারে কাজ করুন?
দেখুন, কলকাতায় তো গৌতম ঘোষ কী ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি আমি প্রথম দিন থেকেই পাইনি। আমি টেলিভিশনে কাজ করে করে ‘কালবেলা’ পেয়েছিলাম। তার পর থেকে হিরোইনের রোল পাই টপ পরিচালকদের কাছ থেকে। এখানেও তাই। কাজ করতে দিন না আমাকে কিছু দিন। দেখবেন ঠিক এ-লিগে পৌঁছে যাব। সেই কনফিডেন্স আমার আছে। বিশাল ভরদ্বাজের সঙ্গে রেগুলারলি কথা হয় আমার। আরও অনেকের সঙ্গেই কথা চলছে।

বিশাল ভরদ্বাজের ছবি করছেন কবে?
(হেসে) ধৈর্য ধরুন না একটু। সব হবে।

বিক্রম ভট্ট তো সুস্মিতা সেনের সঙ্গে ছবি করতে গিয়েই তাঁর প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন। অমিশা পটেলের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। শোনা যাচ্ছে উনি পাওলিরও প্রেমে পড়েছেন?
হা হা হা হা। বিক্রমের সঙ্গে তো আমার দেখাই হয় না। প্রেম হবে কী করে!
বিক্রম ভীষণ ওপেন। ভীষণ ট্রান্সপ্যারেন্ট। নিজেকে নিয়ে মজা করতে পারে। আমার অভিনয়ের উপর ওর ভরসা আছে। আর শুনুন, বিক্রম কিন্তু ক্রেডিবিলিটির ওপর কাস্টিং করে। ইনফ্যাক্ট জেনে রাখুন, বলিউডে কাস্টিংটা কিন্তু ক্রেডিবিলিটির ওপরই হয়।

‘অঙ্কুর অরোরা মার্ডার কেস’য়ে পাওলি
কী বলছেন? বলিউডে তো কাস্টিং অনেক সময়ই কাউচের ভিত্তিতেও হয়?
সেটা আমি জানি না। আমার সেই রকম কোনও অভিজ্ঞতা কিন্তু হয়নি। আর দু’টো ছবি করা মানে কি কোনও পরিচালক কোনও অভিনেত্রীর প্রেমে পড়ে যান নাকি? আমি তো মৈনাকের সঙ্গে আগে একটা ছবি করেছি, আর একটা ছবির কথা চলছে। তার মানে কি মৈনাকের সঙ্গে আমার প্রেম নাকি? গৌতমদা (গৌতম ঘোষ)-র ব্যাপারেও একই কথা প্রযোজ্য। আমি তো ওঁর সঙ্গেও দু’টো ছবি করেছি।

গৌতম ঘোষ তো আপনাকে খুব পছন্দ করেন?
সেটা উনি পরিচালক হিসেবে আমাকে পছন্দ করেন। ছবিতে অভিনয় করলেই পরিচালক প্রেমে পড়ে যাবেন অভিনেত্রীর, সেটা ঠিক নয়।

আচ্ছা, বাংলা টেলিভিশন থেকে বিক্রম ভট্টের ছবি, এই জার্নিটা ফিরে তাকালে কী মনে হয়?
মনে হয়, জার্নি হ্যাজ বিন ইন্টারেস্টিং। এটা এমন একটা জার্নি যেটা আমি কোনও দিন ভাবিনি আমার জীবনে হবে। আমি অ্যাকাডেমিকসের মেয়ে, অভিনয়টা আমার কাছে অ্যাক্সিডেন্টালি হয়েছে। কিন্তু আজকে আমার কাছে অভিনয়টাই একমাত্র প্যাশন। আর যেহেতু আমি কনভেনশনাল ধ্যান-ধারণার তোয়াক্কা করি না, তাই হয়তো মানুষের মনে পাওলিকে নিয়ে একটা কৌতূহল সর্বক্ষণ থেকে যায়।

আপনি তো কেমিস্ট্রি নিয়ে মাস্টার্স করেছিলেন। কনসেনট্রেটেড সালফিউরিক অ্যাসিড থেকে ‘ছত্রাক’য়ের সিন করা এই জার্নিতে কোনও রিগ্রেট নেই?
একেবারেই নেই। আই হ্যাভ নো রিগ্রেটস। যা করেছি ঠিক করেছি।

‘ছত্রাক’ ভারতে রিলিজ করবে না?
প্যারিসে তো রিলিজ করেছে। ইন্ডিয়াতে কী হবে অবশ্য আমি জানি না। বাট আই ডোন্ট রিগ্রেট ডুইং ‘ছত্রাক’ অ্যাট অল।

শোনা যায় বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আপনার আর আগের মতো সম্পর্ক নেই।
দেখুন, যখন যে পরিচালকের সঙ্গে ছবি করি, তখন তাঁর সঙ্গে কনট্যাক্ট থাকে। একবার ছবি রিলিজ হয়ে যাবার পরে সেই রকম কনট্যাক্ট রাখা সম্ভব হয় না।

মানে বাপ্পাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায় ‘জাস্ট অ্যানাদার ডিরেক্টর’ ছিল?
ইয়েস, জাস্ট অ্যানাদার ডিরেক্টর। নাথিং এলস।

শুক্রবার ছবি রিলিজ, সামনে আরও দু’টো হিন্দি ছবি। হাতে চারটে বাংলা ছবি। এত ব্যস্ত থাকলে পাওলির রোম্যান্টিক লাইফের কী হবে?
পাওলির জীবনে এখন রোম্যান্স একটাই সিনেমা। (হেসে) অন্য কিছু ভাবছি না।

আপনার জীবনে কলকাতায় এক বিক্রম রয়েছে, মুম্বইতে এক বিক্রম রয়েছে। কোন বিক্রম বেশি ফেভারিট?
এই তো (হেসে)?

বলুন না, ডিপ্লোমেসি তো পাওলির ডিকশনারিতে আগে ছিল না।
(হেসে) একটাই কথা বলতে পারি। আপনি এত সিওর হচ্ছেন কী করে যে আমার জীবনে শুধু দু’টো বিক্রমই আছে? অন্য অনেক বিক্রমও তো থাকতে পারে...

বুঝলাম।
গুড। হা হা হা হা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.