জোড়া খুনের পুরনো মামলা জুড়ল |
গৌরাঙ্গ ফের পুলিশি হেফাজতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার মামলায় গৌরাঙ্গ প্রধানকে আরও চার দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালত।
গত ২৮ মে ঝাড়গ্রাম শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেনাগেড়িয়া এলাকায় সাবিত্রী সরকার নামে এক বৃদ্ধার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ৮০ শতাংশ দগ্ধ সাবিত্রীদেবীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তিনি মারা যান। চাহিদা মতো জমির ভাগ না দেওয়ায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত গৌরাঙ্গ প্রধানের অনুগামীরা সাবিত্রীদেবীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল বলে অভিযোগ। ওই রাতেই গৌরাঙ্গ-সহ সাত তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে ঝাড়গ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সাবিত্রীদেবীর ছোটছেলে সঞ্জয় সরকার। গত ৩০ মে গ্রেফতার হন গৌরাঙ্গ প্রধান। প্রথম দফায় আদালত তাঁকে দশ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। শনিবার ঝাড়গ্রামের বালিভাসা থেকে আরও চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে ওই চারজন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বাকি অভিযুক্তরা এখনও পলাতক।
দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সোমবার গৌরাঙ্গকে আদালতে হাজির করা হয়। বৃদ্ধা খুনের মামলায় তদন্তের স্বার্থে গৌরাঙ্গকে আরও চার দিন নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক প্রিয়জিৎ চট্টোপাধ্যায় পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করে গৌরাঙ্গকে চার দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠান। এ ছাড়াও জঙ্গলমহলের অশান্তি পর্বে অপহরণ করে জোড়া খুনের পুরনো একটি মামলায় এ দিন গৌরাঙ্গকে যুক্ত করেছে পুলিশ। আদালতে এ দিন পুলিশ জানায়, দু’বছর আগে দুই দুধ বিক্রেতাকে অপহরণ করে খুনের পুরনো একটি মামলার এফআইআর-এ মূল অভিযুক্ত হিসেবে গৌরাঙ্গের নাম রয়েছে। ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া অঞ্চলের বছর কুড়ির দুই তরুণ ডুমুরিয়া গ্রামের মন্টু বারিক ও জামিরকাটা গ্রামের রহিন বারিকেরা ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সাইকেলে দুধ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। ঘটনার পর ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এক সন্দেহভাজন জেলবন্দি মাওবাদীকে জেরা করে গত বছর ১৯ এপ্রিল ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া অঞ্চলের নুনিয়াকুন্দ্রির জঙ্গলের মাটি খুঁড়ে দু’টি দেহাবশেষ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কঙ্কাল দু’টি মন্টু ও রহিনের বলে শনাক্ত করেন পরিজনেরা। এরপরই গৌরাঙ্গের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন সিপিএম সমর্থক মন্টু ও রহিনের পরিজনেরা। কিন্তু তারপরও শাসক দলের কর্মী গৌরাঙ্গকে গ্রেফতার করা হয়নি। |
পুরনো খবর: জমি না পেয়ে বৃদ্ধাকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা |
|