|
|
|
|
মাওবাদী দমনে দ্বিমুখী নীতিই চালাবে কেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেস নেতাদের উপরে হামলার পরে মাওবাদী মোকাবিলায় কেন্দ্রের দ্বিমুখী নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, মাওবাদীদের সম্পর্কে নরম মনোভাব নিচ্ছে কংগ্রেসের একাংশই। ফলে, মাওবাদী দমন নীতি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সর্বদল বৈঠক ডেকে সব দলকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। উন্নয়ন ও অভিযানের দ্বিমুখী কৌশল যে কেন্দ্র ছাড়ছে না, আজ তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।
ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রসের পরিবর্তন যাত্রা চলার সময়েই হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশলও নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং শাসকদল কংগ্রেস। ঐকমত্য তৈরির পাশাপাশি ছত্তীসগঢ়ে রাজনৈতিক কাজকর্ম চালু রাখার দায়িত্ব যে রমন সিংহেরই তা-ও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁরা জানিয়েছেন, ছত্তীসগঢ়ে ফের পরিবর্তন যাত্রা শুরু করবে করবে কংগ্রেস। যাত্রার শেষ পর্বে হাজির থাকবেন স্বয়ং রাহুল গাঁধী। এই ব্যাপারে রাহুল এ দিন কথা বলেছেন ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গেও। রমন সিংহের উপর চাপ বাড়াতেই যে কংগ্রসের এই সিদ্ধান্ত তা পরিষ্কার। কড়া বার্তা দিয়েছেন সনিয়া গাঁধীও। বলেছেন, “মাওবাদী এলাকায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম চালানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক কাজকর্ম চালানোও প্রয়োজন।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে রাজ্যগুলিকে সাহায্য করতে ইউপিএ সরকার দায়বদ্ধ। কিন্তু রাজনৈতিক দল বা তার নেতাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্যকেই। ছত্তীসগঢ়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যাতে রাজনৈতিক দলগুলি মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় প্রচার চালাতে পারে, তা রমন সিংহকেই নিশ্চিত করতে হবে। একই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও।
বৈঠকে অবশ্য বিজেপি পাল্টা আক্রমণ থেকে সরে আসেনি। সুষমা স্বরাজ, অরুণ জেটলিরা অভিযোগ তুলেছেন, মাওবাদীদের সম্পর্কে সরকারের মনোভাব যথেষ্ট কঠোর নয়। তাঁদের যুক্তি, আগে অভিযান চালিয়ে মাওবাদীদের তাড়াতে হবে। তার পরে উন্নয়ন হোক। কিন্তু শিন্দে বোঝান, অভিযান ও উন্নয়ন, দু’টোই একসঙ্গে প্রয়োজন। |
পুরনো খবর: মাওবাদী প্রশ্নে পাল্টা আক্রমণের পথে বিজেপি, নিশানায় সনিয়া |
|
|
|
|
|