|
|
|
|
বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের তদন্ত করবে এনআইএ
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
মিজোরামে জঙ্গি-অস্ত্রভাণ্ডার থেকে মেশিনগান, রাইফেল, গুলি উদ্ধারের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব এনআইএ-র হাতে তুলে দিতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার।
আইজল হয়ে পড়শি রাষ্ট্রে প্রচুর অস্ত্র পাচার করা হবেএ বছর মার্চ মাসে এমনই খবর পেয়েছিল আসাম রাইফেল্স। স্থানীয় পুলিশ এবং সিআইডি-কে সঙ্গে নিয়ে মিজোরামের লেংপুই বিমানবন্দরের কাছে লেংটে এলাকায় হানা দেন আসাম রাইফেল্সের জওয়ানরা। পুলিশ সূত্রের খবর, সেখানকার একটি বাড়ি থেকে ২৩ টি এ কে ৪৭ রাইফেল, একটি মেশিনগান এবং আরও একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়ি থেকে রবি চাকমা, সবুজ চাকমা ও মণি ত্রিপুরা নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরা করে আইজল শহরের বিভিন্ন এলাক থেকে আরও ৮টি এ কে ৪৭ রাইফেল, প্রচুর পরিমাণ গুলি, কার্তুজের খোঁজ মেলে।
পুলিশ জানায়, অস্ত্রঘাঁটি থেকে গ্রেফতার তিনজনের কাছ থেকে জানা যায়, তারা ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জন-সংহতি সমিতি’ নামে বাংলাদেশের একটি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। মায়ানমার থেকে অস্ত্রগুলি কিনে নিয়ে এসে সে গুলি বাংলাদেশে ওই সংগঠনের চট্টগ্রাম ঘাঁটিতে পাঠানো হচ্ছিল। অস্ত্রপাচারে নাগা জঙ্গিরাও জড়িত রয়েছে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ওই অস্ত্রপাচার চক্রের তদন্ত মিজোরাম পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণেই এনআইএ-র উপর তা ছেড়ে দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। |
|
|
|
|
|