নট নড়নচড়ন অবস্থার অবসান! মায়ানমার থেকে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির দিকে এগোতে শুরু করেছে মৌসুমি বায়ু। বর্ষা কবে দক্ষিণবঙ্গে পৌঁছবে, আবহাওয়া দফতর এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।
সাধারণ ভাবে ৮ জুন দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢোকে। এ বছর তার আগমন কয়েক দিন পিছিয়ে যেতে পারে বলে আবহবিদেরা মনে করছেন। গত বছর নির্দিষ্ট সময়ের ১০ দিন পরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছিল। এ বার কতটা দেরি হতে পারে, হাওয়া অফিস তা বলতে পারছে না। তবে তাদের আশ্বাস, ঘূর্ণাবর্ত এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার যুগলবন্দির দৌলতে বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্ত ভাবে।
আবহবিজ্ঞানীরা জানান, সাধারণত ১ জুন বঙ্গোপসাগরের মৌসুমি বায়ুর শাখাটি মায়ানমার-মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে উত্তর-পূর্বে ঢুকে পড়ে। ৫ জুন নাগাদ তা কোচবিহার হয়ে ঢোকে উত্তরবঙ্গে। এ বছর বর্ষা প্রথম দিকে নিয়মমাফিক চললেও জুনের শুরু থেকে কিছুটা গতি হারিয়েছিল। দিল্লির মৌসম ভবনের আবহবিদেরা জানান, পূর্ব ভারতে বর্ষা জোরদার হবে কি না, সেটা নির্ভর করে বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়ার পরিস্থিতি ও বায়ুপ্রবাহের উপরে। সাময়িক একটা বিরূপ পরিস্থিতির জন্যই বর্ষা চার দিন ধরে মায়ানমারে আটকে ছিল। অবশেষে সেই অচলাবস্থা কেটেছে।
বৃহস্পতিবার উপগ্রহ-চিত্র দেখে বিশ্লেষণ করে আবহবিদেরা জানান, বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হচ্ছে। মৌসুমি বায়ুর একটি মুখ মায়ানমার-মিজোরাম সীমান্তের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। আগামী দিন দুয়েকের মধ্যেই উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য এবং উত্তরবঙ্গে পৌঁছে যাবে বর্ষা। আজ, শুক্রবার উত্তর-পূর্বের সব রাজ্য এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তরের বর্ষা-ভাগ্যে আশার আলো দেখা গেলেও দক্ষিণের ক্ষেত্রে এ দিন তেমন কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেননি আবহবিজ্ঞানীরা। তবে ঝাড়খণ্ডের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত এবং দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত নিম্নচাপ অক্ষরেখার প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে জলীয় বাষ্প ঢুকছে। তৈরি হচ্ছে মেঘও। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানান আলিপুর আবহাওয়া অফিসের এক আবহবিদ। |