|
|
|
|
ছাত্র সংঘর্ষ কৃষ্ণনগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কৃষ্ণনগর |
পরীক্ষায় নকল করতে বাধা দিয়েছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তার প্রতিবাদে গত সোমবার কৃষ্ণনগরের আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজে ভাঙচুর চালিয়েছিল দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের পড়ুয়ারা। এমনকী মারধরও করা হয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। সেই ঘটনা ঘিরেই বৃহস্পতিবার সংঘাতে জড়াল ওই দুই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারা। পুলিশ ও কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবারের ঘটনার পরই দুই কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্বের মধ্যে শুরু হয় চাপানউতোর। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার আসাননগর ঝাউডাঙা মোড়ে সুমিত হাজরা নামে আসাননগর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক নেতাকে মারধর করে দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের কয়েকজন বহিরাগত। গুরুতর জখম অবস্থায় সুমিতকে আসাননগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। প্রতিবাদে আসাননগর কলেজের তৃণমূল কর্মীরা কৃষ্ণনগর-মাজদিয়া রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। আহত সুমিত হাজরা বলেন, “ওরা আমাদের কলেজে এসে ভাঙচুর করেছিল। প্রতিবাদ জানাতেই মারল ওরা।” তবে দ্বিজেন্দ্রলাল কলেদের ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, “ওই কলেজের ছেলেরা আমাদের কলেজের ছেলেদের পরীক্ষা দিতে দিচ্ছিল না। ছাত্রীদেরও উত্ত্যক্ত করছিল। তার প্রতিবাদ করে আমাদের কলেজের ছেলেরা।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি জয়ন্ত পাল বলেন, “আমি দুই কলেজের নেতৃত্বকেই বলে দিয়েছি, যাতে ভবিষ্যতে এ জাতীয় ভুল না হয়।” কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বলেন, “১০ জুন রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষার দিন যদি কেন্দ্র স্থানান্তরিত করতে হয় দায়ী থাকবে প্রশাসন।”
|
পুরনো খবর: টোকাটুকিতে বাধা, হামলা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপরে |
|
|
|
|
|