টুকতে বাধা দেওয়ার ‘অপরাধে’ কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মারধর করার অভিযোগ উঠল কিছু বহিরাগত পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, নদিয়ার আসাননগর মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজে ওই হামলাকারীরা মারধর করেই ক্ষান্ত হয়নি। তারা ভাঙচুরও চালায়। তাণ্ডবের পরে শিক্ষক-শিক্ষিকারা পরীক্ষার দায়িত্ব নিতে চাননি। খবর যায় পুলিশে।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পার্ট-২ (সাধারণ) পরীক্ষা শুরু হয়েছে দিন কয়েক আগে। সোমবার ছিল বাংলা পরীক্ষা। কৃষ্ণনগর দ্বিজেন্দ্রলাল রায় কলেজের পড়ুয়াদের আসন পড়েছিল মদনমোহন তর্কালঙ্কার কলেজে। মদনমোহন কলেজ সূত্রের দাবি, এ দিন প্রথমার্ধের পরীক্ষা শুরু হতেই পড়ুয়াদের একাংশ বই দেখে লিখতে দেওয়ার দাবি তোলে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা তা না মানায় বাধানো হয় দক্ষযজ্ঞ। ছেঁড়া হয় পরীক্ষার খাতা। ভাঙা হয় আসবাব। অধক্ষ্যা স্নিগ্ধা চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ফেলে মারমুখী পড়ুয়াদের একাংশ। স্নিগ্ধাদেবীকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হন অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছোটাছুটি শুরু করেন অন্য পড়ুয়ারা।
স্নিগ্ধাদেবী বলেন, “পরীক্ষার্থীদের একাংশ বই দেখে লিখতে চাইছিল। ইনভিজিলেটরেরা সেই দাবি না মানায় তাঁদের মারধর করা হয়। জিনিসপত্র তছনছও করা হয়।” বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, “মদনমোহন কলেজের তরফে পাঁচ পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দ্বিজেন্দ্রলাল কলেজের অধ্যক্ষ শাহজাহান আলি দুঃখপ্রকাশ করে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নিক।” খবর পৌঁছয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিনিধি দল কলেজে যায়। পৌঁছয় পুলিশও। পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিরাপত্তা বিষয়ে আশ্বাস মিললে শুরু হয় দ্বিতীয়ার্ধের পরীক্ষা। |