মাধ্যমিকে পিছিয়ে পড়েছিল সংবর্ত। আর সেটাই উচ্চ মাধ্যমিকে এনে দিল কাঙ্খিত সাফল্য। উচ্চ মাধ্যমিকের রাজ্য মেধা তালিকায় সম্ভাব্য ষষ্ঠ কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র সংবর্ত পাল বরাবরই স্কুলে প্রথম হত। মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাতেও সে সর্বোচ্চ পেয়েছিল। কিন্তু মাধ্যমিকে সে শুধু পিছিয়েই পড়েনি। চলে গিয়েছিল পঞ্চম স্থানে।
|
সংবর্ত পাল। |
আবার প্রথম স্থানে ফেরার জেদই তার এই সাফল্যের চাবিকাঠি।
উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৬৭ নম্বর পেয়েছে সংবর্ত। বাংলায় ৮৩, ইংরাজিতে ৮৮, রসায়নে ৯৭, অঙ্কে ১০০, জীব বিজ্ঞানে ৯৯ পেয়েছে সে। যদিও রেজাল্ট জানার পর তার অকপট স্বীকারোক্তি, “এত ভাল ফল আশা করিনি। ভেবেছিলাম ৪৬০ পাব।” পুরনো ফলের জের ভুলতে পারেনি সে। তাই বলে, “মাধ্যমিকের টেস্টে ভাল ফল করেও শেষ রক্ষা হয়নি। ভেবেছিলাম এ বারও হয়তো সেই রকম হবে।”
নিজে ভাল গান গায়। পড়ার ফাঁকে সুযোগ পেলেই বলে পড়ে হারমোনিয়াম নিয়ে। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অসম্ভব ভক্ত। ফেলুদা থেকে কাকাবাবু পড়তে ভাল লাগে। বাদ নেই প্রফেসর শঙ্কুও। খুব প্রিয় সুনীল গঙ্গোপাধায়ের লেখা। আমির খানের সিনেমা চললেই টিভির সামনে। প্রিয় খেলা ক্রিকেট। ভক্ত সৌরভের। পরীক্ষার আগেও স্কুলের টফিনে চলত বল পেটানো। স্কুলের শিক্ষকদেরও প্রিয় হাসিখুশি সংবর্ত। স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাপস নাথ বলেন, “সংবর্ত শুধু মেধাবী নয়, খেলাধুলোতেও ভাল।
ডাক্তার হতে চায় সংবর্ত। বাবা নির্মল পাল সন্ধ্যাপাড়া বিবেকানন্দ গণ শিক্ষা নিকেতনের জুনিয়ার হাই স্কুলের শিক্ষক। নির্মলবাবু বলেন, “পড়ার জন্য বলতে হয়নি ওকে। মাধ্যমিকে ও যতটা আশা করেছিল ততটা করতে পারেনি। তারপরই ও আরও সিরিয়াস হয়ে পড়তে আরম্ভ করে।” |