...আমরা পেনকে রাখার সব রকম চেষ্টা করেছিলাম। ময়দানের ফুটবলের আর্থিক মন্দার বাজারে ওকে যে টাকার (৫৫ লক্ষ) প্রস্তাব দেওয়া হয়, তাতে ও রাজি হয়নি।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কখনও কাউকে ছুরি মারে না। বরং সমস্ত ফুটবলারের স্বার্থ দেখে। গত মরসুমে পেনের সঙ্গে ৩৫ লক্ষ টাকার চুক্তি ছিল। কিন্তু ওকে আমরা ৭২ লক্ষ টাকা দিয়েছি।
যে দিন আমরা এএফসি কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার সুযোগ পেলাম, সে দিনই সুয়োকার ব্যাপারে টিমের অধিনায়ক মেহতাবের সঙ্গে ক্লাবের কথা হয়। মেহতাব আমাদের বলেছিল, “সুয়োকা এলে আর কাউকে লাগবে না।” আমরা সব সময় উইনিং কম্বিনেশন ধরে রাখতে চাই। পেনের চুক্তি-সংক্রান্ত বিষয়ে ওর ‘ফাদার’ শেষ কথা। গির্জার সেই ফাদার যখন আমাদের বললেন, “পেন নতুন মরসুমে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে পারবে না,” তখনই মোগার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। চুক্তিপত্রের তারিখ দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে মোগার সঙ্গে কবে চুক্তি হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের।
কিন্তু মোগার সঙ্গে আমাদের চুক্তি পাকা হওয়ার পর পেন ফের ইস্টবেঙ্গলে খেলার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিল। তখন আমরা এমনকী এটাও আলোচনা করেছিলাম যে, মোগার চুক্তি কোনও ভাবে বাতিল করা যায় কি না। সে কারণে পেনকে সে দিন রাত ন’টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ও বিকেলের মধ্যেই মহমেডানে সই করে দেয়।
গত তিন মরসুমে আটটা ট্রফি ইস্টবেঙ্গলকে পেন একা দেয়নি। এটা গোটা টিমের সাফল্য। আমাদের টিমে আসার আগে জেসিটিকে ক’টা ট্রফি দিতে পেরেছিল।
|