|
|
|
|
ক্রিকেটেও বড় ম্যাচ জিতল ইস্টবেঙ্গল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফুটবলের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে ক্রিকেটেও মাথা নত করতে হল মোহনবাগানকে। গত মরসুমে ফুটবলে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে একটাও জয় নেই বাগানের। ক্রিকেট মরসুমে এ বার জেসি মুখোপাধ্যায় ট্রফিতে প্রতিবেশী ক্লাবের বিরুদ্ধে জয়ের মুখ দেখলেও সিএবি দু’দিনের লিগ সেমিফাইনালে হারল মোহনবাগানই। বৃহস্পতিবার ইডেনে বড় ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল জিতল ২৫ রানে। জেসি-র হারের মধুর প্রতিশোধ নিলেন রবিকান্ত সিংহ (৩-৩০), অনির্বাণ গুপ্তরা (৪-১০৪)।
ইস্টবেঙ্গল কোচ প্রণব নন্দী অবশ্য বললেন, “প্রতিশোধ কীসের? বোলাররা ভাল বল করায় ক্লোজ ম্যাচ জিতলাম।” যদিও প্রণবের দল স্থানীয় ক্রিকেটে এ বার চারটে ট্রফিরই ফাইনালে উঠল। ইস্টবেঙ্গলের আগের দিন করা ৩০৫ রান এ দিন তাড়া করতে নেমে লাঞ্চের সময়ও সৌরাশিস লাহিড়ীদের রান ছিল ৮৪-২। অরিন্দম ঘোষের (৭৬) দাপটে ম্যাচে তখনও মোহনবাগানের আধিপত্য। |
ক্রিকেটে ট্রফি জেতর উল্লাস ইস্টবেঙ্গলের। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
এর পরেই বাগানের মিডলঅর্ডার ধসিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল বোলাররা। শেষের দিকে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচে সঞ্জীব সান্যালের ধৈর্যশীল ৭৬ রানে মোহনবাগানের ফেরার প্রচেষ্টা থাকলেও শেষরক্ষা হয়নি। দিনের নায়ক অনির্বাণ বললেন, “মোহনবাগানকে হারানো বাড়তি পাওনা। তবে ফাইনাল না জিততে পারলে এই জয়ের গুরুত্ব থাকবে না।”
অন্য দিকে, ক্লোজ ম্যাচ হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ সৌরাশিস বললেন, “ওদের ২০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি আমরা। সেটাই ফারাক গড়ে দিল। তাও ৮৫ ওভারে ৩০৫ রান তোলাই যেত। পরপর উইকেট হারিয়ে ম্যাচটা বেরিয়ে গেল।” ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের প্রতিপক্ষ কালীঘাট এবং ভবানীপুর ম্যাচের জয়ী দল। যদিও তার আগেই সিএবি নক আউট ফাইনালে ফের মুখোমুখি হচ্ছে মোহন-ইস্ট। সেই যুদ্ধেও চোটআঘাতের কারণে বাগানে হয়তো থাকবেন না শুভময়, দেবব্রত, লক্ষ্মীরতনদের মতো অপরিহার্যরা।
|
|
|
|
|
|