ঠেলার নাম বাবাজি!
গুজরাতে শিল্প বাড়ছে। তাই একটি বুলেট ট্রেন চাই। আমদাবাদ থেকে মুম্বই। হুশ করে পৌঁছে যাবেন শিল্পপতিরা। প্রায় অর্ধেক সময়ে। বহু বছর ধরে কেন্দ্রের কাছে এই দাবি নিয়ে দরবার করে আসছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর চাপে
এ বার বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী
হল কেন্দ্রও।
ইতিমধ্যেই জাপানে গিয়ে টোকিও থেকে হামমাৎসু পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চেপে এসেছেন মোদী। জাপান থেকে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে সমীক্ষার কাজও সেরে ফেলেছেন। কিন্তু বিদেশ থেকে এই প্রকল্পে বিনিয়োগ টানার জন্য কেন্দ্রের সাহায্যও প্রয়োজন। এই বিষয়ে মনমোহন সিংহ সরকারের উদ্যোগের অভাব নিয়ে বেশ কয়েক বার কটাক্ষও করেছেন মোদী।
প্রায়ই নানা বিষয়ে মোদীর আক্রমণ হজম করতে হয় কেন্দ্রকে। ভোটের বছরে বুলেট ট্রেন নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছেন মোদী। এখন মনমোহন এই বিষয়ে উদ্যোগী না হলে কটাক্ষ বাড়বে। তাই জাপান সফরে গিয়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে বুলেট ট্রেন নিয়ে এক দফা আলোচনা করেছেন মনমোহন। স্থির হয়েছে, আমদাবাদ-মুম্বই বুলেট ট্রেন নিয়ে ফের সমীক্ষা করবেন জাপানি বিশেষজ্ঞরা। সফর শেষে দু’দেশের যৌথ বিবৃতিতেও বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। |
এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, “ এ বারের রেল বাজেটে বুলেট ট্রেনের উল্লেখ না থাকায় কেন্দ্রকে দুষেছিলেন মোদী। তাই জাপানে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টির কথা উল্লেখ না করলে মোদী বঞ্চনার রাজনীতি শুরু করে দিতেন। সেই ঝুঁকি নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।”
মনমোহন সরকারের ওই মন্ত্রীর মতে, ভোটের আগেই বুলেট ট্রেন চালু হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কংগ্রেস শাসিত মহারাষ্ট্র এই নিয়ে তেমন উচ্চবাচ্য করছে না। কিন্তু, মোদীর যথেষ্টই তাগিদ রয়েছে।
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, দেশের ছ’টি স্থানে বুলেট ট্রেন চালু করা যায় কি না, তা নিয়ে বহু দিন ধরেই সমীক্ষা চলছে। কেবল আমদাবাদ-মুম্বইয়ের ৫৩৪ কিলোমিটার রুটেই সেটি চালু করা কিছুটা লাভজনক। কারণ, এই ট্রেন চালু করতে এক কিলোমিটারেই প্রায় ১২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ দরকার।
এত বড় বিনিয়োগ যখন হবে, তখন সেটি লাভজনক করে তোলাটাও জরুরি। লাভজনক করতে হলে এই ট্রেনের ভাড়া বিমানের থেকে কম রাখতে হবে। ফলে, রাতারাতি এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা সম্ভব নয়।
|