শিল্প করিডরে লগ্নি নিয়ে সংশয় কাটাল জাপান
ংশয় দূর হল। দিল্লি-মুম্বই শিল্প করিডর (দিল্লি-মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর বা ডিএমআইসি)-এর জন্য আরও সাড়ে চারশো কোটি ডলার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিল জাপান।
রেলের মাধ্যমে গোটা দেশে দ্রুত পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যে পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে মোট ৩২৮৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পণ্য করিডর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এটি রূপায়িত হলে বিভিন্ন রাজ্য তার সুফল পাবে। পূর্ব করিডরের জন্য বিশ্বব্যাঙ্ক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্ক (এডিবি) এবং পশ্চিম করিডরের জন্য জাপান ব্যাঙ্ক থেকে ঋণের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
কিন্তু জাপানের সাম্প্রতিক আর্থিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে জাপান ব্যাঙ্ক প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ করবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন দিল্লি-মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডর ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (ডিএমআইসিডিসি)-এর কর্তারা। এ বার তাঁরা নিশ্চিন্ত হলেন। টোকিওয় আয়োজিত ভারত-জাপান গ্লোবাল পার্টনারশিপ সামিটে ডিএমআইসিডিসি-র সিইও অমিতাভ কন্থ আজ জানালেন, ওই পণ্যবাহী রেলপথ তথা শিল্পতালুক গঠনে সাড়ে চারশো কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য জোগাতে নীতিগত ভাবে রাজি হয়েছে জাপান ব্যাঙ্ক ও জাপান সরকারের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রক।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের জহওরলাল নেহরু বন্দর থেকে উত্তরপ্রদেশের দাদরি-পশ্চিম পর্যন্ত পণ্য করিডোরের দু’পাশে প্রস্তাবিত ওই শিল্পতালুকের পরিকাঠামো গঠনে জাপান ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যে প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ বার তাদের তরফে আরও সাড়ে চারশো কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি প্রকল্পের কাজে প্রয়োজনীয় গতি আনবে মনে করছে শিল্প ও বাণিজ্যমহল।
উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র ও মধ্যপ্রদেশ এই ছ’টি রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রস্তাবিত পণ্যবাহী রেলপথের দু’পাশে সাতটি নতুন শহর, ন’টি শিল্প পার্ক, তিনটি বন্দর ও ছ’টি বিমানবন্দর তৈরির কথা। সম্প্রতি প্রকল্পটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। সরকারি-সূত্রের আশা, চলতি মাসেই তা ছাড়পত্র পেয়ে যাবে। কন্থ জানান, পুরো উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে ন’হাজার কোটি ডলার লগ্নি প্রয়োজন। প্রাথমিক ভাবে তার ১০%, অর্থাৎ ন’শো কোটি ডলার তোলার পরিকল্পনা হয়েছে। যার জন্য ভারত সরকার ইতিমধ্যে সাড়ে চারশো কোটি ডলারের তহবিল গড়েছে। সম পরিমাণ অর্থই দেবে জাপান। আগামী তিন বছর ধরে, তিন কিস্তিতে।
‘বুলেট ট্রেন করিডর’ নিয়েও ভাবনা শুরু করেছে রেল মন্ত্রক। পণ্য করিডরের জন্য জমি অধিগ্রহণের সময়েই বুলেট ট্রেনের জন্যও তারা জমি অধিগ্রহণ করতে চাইছে। রেলের যুক্তি, এতে ভবিষ্যতে জমি-সমস্যা এড়ানো যাবে। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে তারা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও সেরে রেখেছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.