|
|
|
|
ফের নিষ্ফলা ত্রিপক্ষ বৈঠক |
চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে অচলাবস্থা কাটেনি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও ফালাকাটা |
ডুয়ার্স ও তরাইয়ের চা বাগান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে অচলাবস্থা মঙ্গলবারও কাটল না। গত দু’দিনের মতো এ দিনও ত্রিপাক্ষিক বৈঠক নিষ্ফলাই ছিল। তবে বোনাস নিয়ে মালিক ও ইউনিয়নের মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ দিন প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, আলোচনা যে ভাবে এগিয়েছে, তাতে আজ, বুধবারই হয়তো বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে এ দিন সকালে ফের নব-মহাকরণে মালিকদের সংগঠন দি কনসালটেটিভ কমিটি অফ প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (সি সি পি এ) এবং শ্রমিকদের বিভিন্ন ইউনিয়নকে নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম সচিব দিলীপ রথ, শ্রম কমিশনার অমল রায়চৌধুরী, অতিরিক্ত শ্রম কমিশনার সুবল বিশ্বাস প্রমুখ। |
|
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, সোমবার মালিকপক্ষ ও ইউনিয়নের তরফে যে-সব প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাতেই অনড় থাকে তারা। ইউনিয়নগুলির দাবি, তিন বছরের গড় মজুরি হতে হবে অন্তত ৯৫ টাকা। এবং প্রথম বছরে অন্তত ৯০ টাকা। শ্রমিকপক্ষ জট না- কাটার জন্য মালিকদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুললেও সিসিপিএ মুখপাত্রের দাবি, দ্রুত জট কাটানোর লক্ষ্যে তারা যথেষ্টই নমনীয় হয়েছে।
জট কাটার ব্যাপারে অবশ্য আশাবাদী শ্রম দফতর। সুবলবাবু বলেন, “আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। আগের বেতন চুক্তির তুলনায় এ বার এখনও পর্যন্ত প্রথম বছরে মজুরি বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। বোনাসের বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর ফের এ নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডাকা হতে পারে।” তবে তা পুজোর আগে না পরে, সে ব্যাপারে এ দিনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে চাননি তিনি।
শ্রমিক সংগঠনগুলি অবশ্য মনে করছে, পুজোর আগে ওই বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পুজোর আগে এ নিয়ে বাগানে ফের আন্দোলনে নামতেও নারাজ বামপন্থী-দক্ষিণপন্থী-সহ আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতারা। আরএসপি-র শ্রমিক নেতা গোপাল প্রধান এ দিন বলেন, “পুজোর মুখে বাগানে আমরা কোনও আন্দোলন করব না।” আদিবাসী বিকাশ পরিষদের রাজ্য সম্পাদক তেজকুমার টোপ্পো বলেন, “এই মুহূর্তে আন্দোলনে যাওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। পুজোর পরে বৈঠক হবে।” এ দিন অবশ্য আগে থেকেই বোনাস নিয়ে বৈঠকের নির্ঘণ্ট ঠিক ছিল। ফলে মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে সোমবারের মতো দীর্ঘ আলোচনার অবকাশ ছিল না। গত বছর ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ গোষ্ঠীভুক্ত বাগানগুলির ক্ষেত্রে ২০% হারে এবং ‘ডি’ গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে ১৮% হারে বোনাস দেওয়া হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, এ দিনের প্রাথমিক আলোচনায় মালিকপক্ষ এ বারও সেই হার বজায় রাখার কথা বলেছে। শ্রমিক সংগঠনগুলির একাংশ অবশ্য সব বাগানকেই ২০% হারে বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। আজ বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী উভয়পক্ষই। উল্লেখ্য, আর্থিক অবস্থার নিরিখেই চা বাগানগুলিকে ওই চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। |
|
|
|
|
|