তালা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে নিঃসঙ্গ বৃদ্ধকে খুন করে সর্বস্ব লুঠ করা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ইংরেজবাজার থানার বাঁশবাড়ি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতের নাম সুবীর বসু (৬৫)। তাঁর দু’হাত বেঁধে শ্বাসরোধ করে মারা হয় বলে পুলিশের সন্দেহ। ওই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। পর পর খুনের ঘটনায় মালদহ শহরে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সোমবার রাতে ইংরেজবাজার থানার সামনে থেকে এক মুহুরিকে তুলে নিয়ে তার নলি কেটে খুন করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল পুলিশ ভ্যানের নজর এড়িয়ে মালদহ শহরের জনবহুল ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই থানা লাগোয়া এলাকায় দুটি বাড়িতে চুরি হয়। স্বভাবতই পুলিশের ভূমিকায় বাসিন্দাদের মনে প্রশ্ন উঠছে।
এই ঘটনার পরে মালদহের পুলিশ সুপার ইংরেজবাজার থানার আইসিকে ভর্ৎসনা করেছেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এর পাশাপাশি, পুলিশেরই এক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহ শহরে ওই রাতে টহলদারির দায়িত্বে থাকা এএসআই অশোক দেবকে সাসপেন্ড করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “একটি দল ওই এলাকায় দুটি বাড়িতে চুরি করেছে ও একটি বাড়িতে ডাকাতি করে এক বৃদ্ধকে খুন করেছে। যে দলটি ডাকাতি করে খুন করেছে তাদের শনাক্ত করতে তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশি টহলদারীর মধ্যে ডাকাতি ও খুনের ঘটনা কি করে ঘটল তা খতিয়ে দেখতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এ দিন পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁশবাড়ি এলাকায় কৃষ্ণমোহন বালিকা বিদ্যালয়ের পাশে নিজের বাড়িতে একাই বসবাস করতেন ৬৫ বছর বয়সী অকৃতদার সুবীর বসু। বুধবার সকালে পরিচারিকা কাজ করতে যান। পিছনের দরজায় অনেকক্ষণ ধাক্কাধাক্কি করার পরেও না খোলায় প্রতিবেশীদের খবর দেন। প্রতিবেশীরা গিয়ে জানালা দিয়ে দেখতে পান বৃদ্ধের হাত-বাঁধা দেহ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। স্থানীয় শান্তি ভারতী পরিষদের সদস্য ছিলেন সুবীর বসু। ওই ক্লাবের সম্পাদক গৌতম বসু এ প্রসঙ্গে বলেন, “কোনও দিন চাকরি করেননি। ব্যাঙ্কে রাখা টাকা ও বাড়ি ভাড়া দিয়ে সংসার চালাতেন।” পুলিশ জানিয়েছে, দুইটি আলমারি ভেঙে তছনছ করা হয়েছে। |