প্রথম বার ফল প্রকাশ করা হয়েছিল ঠিক এক মাস আগে, ৪ মে। এত দিন পরে, বুধবার মেডিক্যালে স্নাতকোত্তর স্তরে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ‘সংশোধিত ফল’ প্রকাশ করল জাতীয় বোর্ড।
এই নিয়ে ধন্দে পড়ে গিয়েছেন ছাত্র, অভিভাবক থেকে শুরু করে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তারাও।
৩১ মে-র মধ্যে যেখানে ভর্তি-প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা ছিল সেখানে এত দিন পরে আবার নতুন করে ফল প্রকাশ করা হল কেন?
জাতীয় বোর্ডের এক কর্তা জানান, তফসিলি জাতি-উপজাতি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী কোটার সব আসনে ছাত্রছাত্রী পাওয়া যায়নি। আসন পূর্ণ করতেই ওই তিন ধরনের সংরক্ষিত আসনে ভর্তির যোগ্যতামান কমানো হয়েছে। তফসিলি জাতি-উপজাতির ক্ষেত্রে যোগ্যতামান হয়েছে ৪০ শতাংশ নম্বর আর শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ। এর ফলে এক মাস আগে প্রকাশিত মেধা-তালিকায় সাধারণ (জেনারেল ক্যাটিগরি) আসনে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্রছাত্রীরা যে যা স্থান পেয়েছিলেন, তার কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেও জাতীয় বোর্ডের দাবি। তবে এ ব্যাপারে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তা ও স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা এখনও যথেষ্ট ধোঁয়াশায় রয়েছেন। ধন্দে রয়েছেন পাশ করা ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকেরাও।
রাজ্যের স্বাস্থ্য (শিক্ষা) অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নতুন ফলের বিষয়টি শুনেছি। ওরা খুব সম্ভবত ফলাফলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিবর্তন করেছে। সব আসন ভর্তি হচ্ছিল না বলে যোগ্যতামান কমানো হয়েছে। কিন্তু পরিষ্কার করে কেন্দ্র আমাদের এখনও কিছু জানায়নি। কেন এত দিন পরে নতুন ফল বার করা হল, সেই বিষয়ে আমাদের ধারণা নেই।” প্রায় একই সুরে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সাধারণ আসনে ভর্তির জন্য কৃতকার্য ছাত্রছাত্রীরা যে-সব স্থান পেয়েছেন, নতুন ফলাফলের জেরে তাতে কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, এখনই বলতে পারব না। পুরোটাই ‘পলিসি ম্যাটার’।” তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকার যেমন চেয়েছে, সেই অনুসারে নতুন ফল প্রকাশ করেছে জাতীয় বোর্ড। তবে ছাত্রছাত্রীদের টাকা জমা দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কাউন্সেলিং চলছে। “মনে হয় না, এই অবস্থায় সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের মেধা-তালিকায় কোনও পরিবর্তন হবে,” বলেন তিনি।
|