পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে সিঁড়ি প্রতীক বরাদ্দ করার দাবি জানিয়েছে মোর্চা। কমিশন অবশ্য জানিয়েছে, মোর্চা স্বীকৃত দল নয়, তাই তাদের চাহিদা মতো প্রতীক বরাদ্দ সম্ভব নয়। এ নিয়ে আইনে যা বন্দোবস্ত আছে, সেটাই মেনে চলা হবে। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেছেন, “আমরা সিঁড়ি প্রতীক হিসেবে চেয়েছি। এখন কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত।”
মোর্চা ডুয়ার্সে মোট ক’টি আসনে প্রার্থী দিতে চাইছে, তা অবশ্য এখনই বলা সম্ভব নয়। রোশনের কথায়, “আমাদের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও জন বার্লার নেতৃত্বাধীন আদিবাসী সংগঠনের সঙ্গে জোট হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে প্রার্থী ঠিক হবে।”
গত বিধানসভা ভোটে মোর্চা ডুয়ার্সের একাধিক আসনে তৃণমূলকে সমর্থন করেছিল। তবে সম্প্রতি তৃণমূলের সঙ্গে মোর্চার সম্পর্কে চিড় ধরেছে। তৃণমূলও পাহাড়ে সংগঠন শক্তিশালী করতে চাইছে। এই পরিস্থিতিতে রোশনের বক্তব্য, “অতীতে আমরা সমর্থন করায় নির্দল হিসেবে কালচিনিতে উইলসন চম্প্রমারি জিতেছেন। কাজেই আমাদের শক্তি সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। সেটা ফের পঞ্চায়েতে বুঝিয়ে দিতে চাই।” মাস দু’য়েক আগে সেই চম্প্রমারি তৃণমূলেই যোগ দিয়েছেন। তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান গৌতম দেব বলেন, “পাহাড় কিংবা সমতল, সব দলের রাজনৈতিক কর্মসূচি নেওয়ার অধিকার রয়েছে।” তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আদিবাসী বিকাশ পরিষদের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেছে। বুধবার পরিষদের রাজ্য কমিটির নেতা তেজকুমার টোপ্পো জানান, নিচুতলায় তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা করেই পরিষদ প্রার্থী দেবে। |