প্রতিবেশী বাংলাদেশ ও নেপালে আইএসআই তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজ্যের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে আজ কেন্দ্রের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ।
প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির মাটিতে আইএসআই সক্রিয়তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব গোয়েন্দারা। আজ অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলন সেই দাবির সঙ্গে সুর মেলালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আজ ওই বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত থাকলেও রাজ্যের প্রতিনিধি হিসাবে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, নেপাল ও বিশেষ করে বাংলাদেশের কিছু মৌলবাদী সংগঠন আইএসআইয়ের মদতে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপে তৎপর রয়েছে। যা রাজ্য তথা দেশের সুরক্ষায় অশনি সঙ্কেত।
রাজ্যের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ৩টি দেশের সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে ভুটান বাদে বাকি দু’টি দেশ নেপাল ও বাংলাদেশের মাটিকে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করছে আইএসআই। রাজ্যের বক্তব্য, বাংলাদেশ ও নেপালের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত মোটেই সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়। তার সুযোগ নিয়ে আইএসআই জঙ্গি সংগঠনগুলিকে অস্ত্রশস্ত্র পাঠাচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে যে আইএসআই সক্রিয়, তা নিয়ে এক দশকের বেশি সময় ধরে রাজ্যকে সতর্ক করে আসছে কেন্দ্র। আজ রাজ্যও জানিয়েছে, নেপাল ও বাংলাদেশের বেশ কিছু মৌলবাদী সংগঠন আইএসআইয়ের মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চাইছে। এর জন্য তারা শুধু অস্ত্রশস্ত্র বা জাল নোটই পাঠাচ্ছে তা নয়, উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলিকেও নিয়মিত পরিকাঠামোগত সাহায্য দিয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশি ব্যবস্থা মজবুত করার জন্য কেন্দ্রীয় সাহায্য দাবি করেন মিত্র।
আজ বৈঠকে পাহাড় শান্তি ফিরেছে বলে দাবি করলেও অমিতবাবু জানান, দার্জিলিং তথা উত্তরবঙ্গে অশান্তি ছড়াতে সক্রিয় রয়েছে কেএলও। তাদের মদত দিচ্ছে আলফা। তবে পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে কেন্দ্র যে আন্তরিক, তা আজ আরও এক বার বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও।
আজ তিনি বলেন, “গত অগস্ট মাসে জিটিএ গঠন করা হয়েছে। ওই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে আগামী তিন বছরে ২০০ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় অনুদান দেবে দিল্লি।” |