যান্ত্রিক ত্রুটি, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শিয়ালদহ ডিভিশনে রেলের গোলমাল প্রায় রোজকার ঘটনা। বুধবারেও মালগাড়ির ইঞ্জিন বেলাইন ও পয়েন্ট বিকল হয়ে শিয়ালদহ মেন লাইনে ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে যায়।
এ দিন দুপুরে প্রায় একই সময়ে পরপর দু’টি ঘটনা ঘটে। প্রথমে ব্যারাকপুরে একটি মালগাড়ির ইঞ্জিন বেলাইন হয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় একটি লাইনে। অন্য তিনটি লাইন দিয়ে ট্রেন চালানোর ফলে সব ট্রেনেরই দেরি হয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে কাঁকুড়গাছিতে একটি পয়েন্ট বিগড়ে যাওয়ায় আটকে পড়ে ট্রেন। এই দু’টি বিভ্রাটে শিয়ালদহ মেন লাইনে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিঘ্নিত হয় ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রের খবর, এ দিন প্রায় সব ট্রেনই ১৫ থেকে ৩০ মিনিট দেরিতে চলেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, শিয়ালদহ ডিভিশনে প্রায়ই ওভারহেড তার ছিঁড়ে পড়ে। ট্রেনের চালক বা গার্ডদের অনেকেই সময়মতো আসেন না বলেও অভিযোগ আছে। এ বার তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাইনের পয়েন্ট ও সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটি। সময়মতো ট্রেন না-চলায় প্রায় রোজই যাত্রীরা ঝামেলায় পড়ছেন। ফলে তাঁদের ক্ষোভও বাড়ছে রেলের পরিষেবা নিয়ে। বারবার এমন হচ্ছে কেন?
রেলকর্তাদের একাংশের মতে, ঠিকমতো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ না-হওয়ায় বারবার এই ঘটনা ঘটছে।
কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না কেন?
রেলের খবর, লাইন মেরামতির কাজের বেশির ভাগ দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, তারাও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে যথেষ্ট সংখ্যক লোক নিয়োগ করে না। কাজ ঠিক হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য রেলেরও যথেষ্ট কর্মী নেই। আছে প্রশাসনিক গাফিলতিও। যদিও পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রবি মহাপাত্র এ-সব অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, “যন্ত্র চললেই বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ দিনও তা-ই হয়েছে। তবে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে, এ কথা ঠিক নয়। যান্ত্রিক ব্যবস্থা বিগড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তা সারিয়ে দেওয়া হয়।”
|
কংগ্রেস-সিপিএম দু’জনেই বিরোধিতা করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সমর্থন করলেন। রাজনৈতিক দলগুলিকে তথ্য কমিশনের আওতায় আনার ব্যাপারে কংগ্রেস-সিপিএমের উল্টো অবস্থান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের সিদ্ধান্তের পিছনে তাঁর পূর্ণ সমর্থন আছে। বুধবার মহাকরণে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “তিনটে রাজ্যে আমরা আছি। আর একটা রাজ্য থেকে প্রতিনিধি পেলেই তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দল হিসেবে গণ্য হবে। তখন আমাদের কাছে কেউ কিছু জানতে না চাইলেও তথ্য কমিশনে গিয়ে সম্পত্তির হিসেব দিয়ে আসব।” নাম না-করে এ দিন কংগ্রেস এবং সিপিএমকে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, “আমাদের দলের যে অডিট হয়, প্যান কার্ড আছে, সে সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে জানাতেই হয়। লুকোনোর কিছু নেই। যারা বিরোধিতা করছে, হতে পারে ওরা অনেক কিছু লুকিয়ে-চুরিয়ে নির্বাচন কমিশনকে তথ্য দেয়।” মমতার দাবি, তাঁর দলে নিয়মিত অডিট হয়। এমনকী, ‘জাগো বাংলা’রও অডিট হয়। দলের তৃণমূল স্তরে যে তহবিল, তারও স্বচ্ছ হিসেবনিকেশ আছে। গত সোমবার রাজনৈতিক দলগুলিকে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় আনতে হবে বলে রায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন। এর বিরোধিতা করেছে সিপিএম, কংগ্রেস-সহ সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি এবং সংযুক্ত জনতা দল। বিজেপি ও সিপিআই আগেই জানিয়েছে, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার পক্ষে তারা। মমতা এ দিন বলেন, “দেশে যে ছ’টা জাতীয় দল রয়েছে, তাদের কোটি-কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। কেউ যদি কোটি টাকার সম্পত্তি সংগ্রহ করে, তার সম্পর্কে জানার অধিকার মানুষের আছে। আমার কাছে হিসেব চাইলে, আমি দেব। কারণ, কোথাও একটা স্বচ্ছতা থাকা দরকার।”
|