রাস্তা চওড়া হোক কিংবা ঘিঞ্জি, ভ্রূক্ষেপ নেই ওঁদের। দ্রুত বেগে মোটরবাইক হাঁকিয়ে তাঁরা অলিগলি থেকে রাজপথ কাঁপিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। হঠাৎ সামনে দ্রুতগামী মোটরবাইক আসতে দেখে পথচারীদের মধ্যে সামাল সামাল রব পড়ে যায়। অনেক সময় দুর্ঘটনাও ঘটছে। বাঁকুড়া শহর থেকে বিষ্ণুপুর, খাতড়া থেকে বড়জোড়াএক ছবি। কিন্তু ওই তেজি মোটরবাইক চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
কয়েক সপ্তাহ আগে বাঁকুড়া শহরের জনবহুল এলাকা মাচানতলা মোড়ে তীব্র গতিতে ছুটে আসা তেমনই এক মোটরবাইকের ধাক্কায় গুরুতর জখম হন পাঠকপাড়ার যুবক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “রাস্তার এক পাশ দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দ্রুত গতিতে এক যুবক মোটরবাইক নিয়ে আমার উপর আছড়ে পড়ল। জখম হয়ে বাড়িতে পড়ে রয়েছি।” বাঁকুড়া শহরেরই যোগেশপল্লিতে কলেজ পড়ুয়া পায়েল মুখোপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা, “বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছি। হঠাৎ তীব্র গতিতে পিছন থেকে একটি মোটরবাইক এসে ধাক্কা মেরে পালিয়ে গেল। রাস্তায় ছিটকে পড়ে খুব চোট পাই। অন্য পথচারীরা এসে উদ্ধার করেন।” কী করছে পুলিশ? জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকরের দাবি, “ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য আগের থেকে বেশি পুলিশ নামানো হয়েছে। ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে সব সময়েই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” তবে পাঠকপাড়ার বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁকুড়া সারদামনি গার্লস কলেজের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ গুপ্তরা মনে করেন, “শহরের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় সিসিটিভি লাগিয়ে ওই বেপরোয়া মোটরবাইক চালকদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিতে হবে।” বাঁকুড়ার পুরপ্রধান শম্পা দরিপা বলেন, “ওই বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর হওয়া দরকার। বাঁকুড়া শহরের জন্য কয়েকটি সিসিটিভি চেয়ে রাজ্য পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরে চিঠি দিয়েছি।” |