একই পরীক্ষায় দু’রকমের অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল আগেই। ফের একবার উত্তর ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল। এ বার অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউ নিচ্ছে শিক্ষা সংসদ। তবে সংসদের তরফে অবশ্য নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হয়নি বলেই দাবি করা হয়েছে।
বিভিন্ন ক্লার্ক, টাইপিস্টের মতো মোট ১৬টি পদে নিয়োগের জন্য এ বছরের ৯ মার্চ লিখিত পরীক্ষা নেয় উত্তর ২৪ পরগনা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ওই পরীক্ষাটির জন্য আগেও একবার আবেদন নেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, স্বজন-পোষণের জন্য একই পরীক্ষায় নতুন ও পুরনো আবেদনকারীদের অ্যাডমিট কার্ডের রং হলুদ ও সাদা দু’রকমের করা হয়েছে। ওই পরীক্ষায় যারা পাশ করেছেন, তাঁদের ৭ জুন ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য দিন ঘোষণা করেছে শিক্ষা সংসদ। কিন্তু সংসদ কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, এই নিয়োগ নিয়ে কোনও বৈঠক করা হয়নি। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে এ ধরনের নিয়োগ অবৈধ। এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যান মীনা ঘোষ বলেন, “ওই পদে নিয়োগ-সংক্রান্ত কাজকর্ম আগে থেকেই চলছিল। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই ৭ জুন ইন্টারভিউয়ের দিন ঠিক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হবে না।”
জেলাশাসক সঞ্জয় বনসলের কথায়, “অভিযোগ পাওয়ার পরে পরীক্ষাটির ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে পরীক্ষাটি নিয়ে কথা হয়েছে। ওই পদগুলিতে নিয়োগ পদ্ধতি আগে থেকে চলছে। তাই সেই প্রক্রিয়া বন্ধ না করলেও চলবে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই নিয়োগের ফলাফল ঘোষণা করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।” |