মনোয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন, বুধবার সিপিএম এবং তৃণমূলের সংঘর্ষের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হাড়োয়া ব্লক অফিস চত্বর। দু’পক্ষের ৬ জন জখম হয়েছেন। ৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাড়োয়া হাসপাতালে। লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। সন্দেশেখালির হাটগাছি গ্রামে তাদের দলের প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস। মনোনয়ন জমা দেওয়ার কয়েক দিনে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মহকুমা পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১০টা থেকে হাড়োয়ার বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে আসে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন। বেলা ১২টা নাগাদ গোলমাল বাধে তৃণমূলের খালেক মোল্লা ও সিপিএমের বাবলু সর্দারের মধ্যে। কে আগে মনোনয়ন দেবে, তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত। হাতাহাতি বেধে যায় দু’পক্ষের। খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্লক অফিস চত্বরে জমায়েত থাকা দু’দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও মারামারি বাধে।
সিপিএমের হাড়োয়া উত্তর লোকাল কমিটির সম্পাদক ভুবন মণ্ডল বলেন, “মঙ্গলবার খাড়ুবালা গ্রামে আমাদের দলের প্রার্থী সামসুল সর্দারকে মারধর করা হয়। ভোটে না দাঁড়ানোর হুমকি দেওয়া হয়। সামসুল এ দিন মনোনয়ন জমা দিতে গেলে তাঁকে ফের মারধর করা হয়েছে। এ ছাড়াও তৃণমূলের ছেলেদের লাঠির ঘায়ে সদাশিব সর্দারের মাথা ফেটেছে।” অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা সঞ্জু বিশ্বাস বলেন, “আমরা আগে মনোনয়ন জমা দিতে গেলে বাধা দেয় সামসুল সর্দার। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে গোলমাল বাধে। এই ঘটনায় আমাদের দলের নুর আলম ও সাইফুদ্দিন মোল্লা গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” |