|
|
|
|
শেষ দিনেও দুই জেলায় গোলমাল |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনেও খুচরো গোলমাল বাধল দুই মেদিনীপুরে।
মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পটাশপুর ২ সাউৎখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বামনবাড়ে অপরেশ সাঁতরা গোষ্ঠীর উপর হামলার ঘটনায় দুই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তৃণমূলের ক্ষমতাসীন দুই গোষ্ঠীর দুই কর্মী ব্রজবল্লভপুর গ্রামের অমিত ভুঁইঞা ও সাতশতমাল গ্রামের শেখ সেলিমকে এ দিন কাঁথি এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল হাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়।
দাঁতন ১ ব্লকের চকইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বরঙ্গি গ্রামে সিপিএমের এক প্রার্থীর প্রস্তাবক হওয়ায় মঙ্গলবার ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বুদ্ধেশ্বর টুডুর বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
বুধবার সকালে মোহনপুর ব্লকের তনুয়া গ্রাম থেকে খড়্গপুরের মহকুমাশাসকের দফতরে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় তিন প্রার্থী-সহ মোট সাত জনকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সিপিএমের মোহনপুর জোনাল কমিটির সম্পাদক রমনীকান্ত জানার অভিযোগ, দলীয় তিন প্রার্থী আরতি দাস, গীতা জানা, ইউনুস মহম্মদ ও তাঁদের প্রস্তাবকদের তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ওড়িশার জয়শঙ্খপুরে নিয়ে যায়। মারধর করা হয় তাঁদের। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই গ্রাম থেকে প্রার্থীদের উদ্ধার করে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। তৃণমূল অবশ্য সিপিএমের অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
হলদিয়ায় আবার তৃণমূল প্রার্থীকে মারধরে অভিযুক্ত হয়েছে খোদ সিপিএম প্রার্থী। মঙ্গলবার রাতে হলদিয়া মহকুমার সদর ব্লকের বাড়উত্তরহিংলী গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী বিষ্ণুপদ রাউথকে ওই আসনেরই সিপিএম প্রার্থী সুব্রত দে ও তাঁর সঙ্গী স্বদেশ দে মারধর করেন বলে অভিযোগ। রাতে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিষ্ণুপদবাবুকে। তবে বুধবারই ছাড়া পেয়ে যান তিনি। ভবানীপুর থানায় দু’জনের নামে অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ কাউকে ধরেনি।
এ দিন সন্ধ্যায় বাঁশকানা জালপাই গ্রামে ইটভাটা সংলগ্ন দোকানে চা খাচ্ছিলেন সিপিএম প্রার্থী সুব্রত ও তাঁর সঙ্গী স্বদেশ। সেই সময় দোকানে আসেন তৃণমূলের বিষ্ণুপদ। সেখানেই দু’পক্ষের হাতাহাতি বাধে। বিষ্ণুপদ রাউথের অভিযোগ, “স্বদেশ আমাকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বলে। সুব্রত বেধড়ক মারে।” সুব্রতর মোবাইল বন্ধ। সিপিএমের হলদিয়া জোনাল সম্পাদক সুদর্শন মান্নার দাবি, “গ্রামের অন্য একটি ছেলের সঙ্গে তৃণমূলের ওই প্রার্থীর হাতাহাতি হচ্ছিল। তাঁদের ছাড়াতেই আমাদের প্রার্থী সুব্রত উদ্যোগী হন।” |
|
|
|
|
|