তেরো বছর পর আবার সবুজ-মেরুন জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে সন্দীপ নন্দীকে। বুধবার বর্ধমানের বাড়িতে বসে মোহনবাগানের চুক্তিপত্রে সই করেন আই লিগ চ্যাম্পিয়ন চার্চিল ব্রাদার্সের বঙ্গসন্তান গোলকিপার। সন্দীপকে পাওয়ায় অরিন্দম ভট্টাচার্যকে ছেড়ে দিল মোহনবাগান।
১৯৯৮-এ বাগানের হয়েই প্রথম জাতীয় লিগ খেলেছিলেন সন্দীপ। পরের বছর জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন সবুজ-মেরুন দলের সদস্যও ছিলেন। দীর্ঘ দিন পর পুরনো দলে ফিরে নস্ট্যালজিক সন্দীপ। “আমার প্রথম বড় ক্লাবে খেলা তো মোহনবাগানেই। অনেক দিন বাদে আবার সেই দলের গোলের নীচে দাঁড়াব ভেবে রোমাঞ্চ অনুভব করছি।” এ দিকে, আইএমজি রিলায়্যান্সের নতুন টুর্নামেন্টের তীব্র বিরোধিতা করল আই লিগের ক্লাব জোট। মুম্বইয়ে এ দিন এই জোটের জরুরি সভায় আই লিগের ১৩টি ক্লাবের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। একমাত্র স্পোর্টিং ক্লুবের কেউ ছিলেন না। তবে সভার সব সিদ্ধান্তে স্পোর্টিং সমর্থনের কথা জানায়। ক্লাব জোট রিলায়্যান্সের টুর্নামেন্টে নিজেদের ফুটবলার না ছাড়ার সিদ্ধান্তেই অনড় থাকল। ওই টুর্নামেন্টে খেলতে চুক্তিবদ্ধ কোনও ফুটবলারকে দলে না নেওয়ার সিদ্ধান্তও বহাল রাখল ক্লাব জোট। রিলায়্যান্সের টুর্নামেন্ট চলাকালীন আই লিগ ক্লাবগুলো নিজেরা আলাদা একটি টুর্নামেন্ট করার চিন্তাও করছে। ক্লাব-জোটের সভাপতি রাজ গোমস ফোনে বললেন, “রিলায়্যান্সের টুর্নামেন্ট চলাকালীন কোনও লিগ হবে না। আই লিগের ক্লাবগুলোর ফুটবলাররা বসে থাকবে। তাদের ফিট রাখার জন্যই একটা টুর্নামেন্ট করার কথা ভাবছি।” আই লিগ ও ফেড কাপের নতুন ফর্ম্যাটেরও বিরোধিতা করেছে ক্লাব জোট। তারা পুরনো ফর্ম্যাটেই দেশের এই দুই সেরা টুর্নামেন্ট হোক চায়। ফেডারেশন আয়োজিত টুর্নামেন্টের ‘অ্যাপিয়ারেন্স মানি’ বেড়েছে বলে ‘প্রাইজমানি’ বাড়ানোর দাবিও করেছে ক্লাবগুলি। অন্য দিকে, এএফসি-র নির্দেশে ফেডারেশনের একটি প্রতিনিধি দল এ দিন এসেছিল মহমেডান ক্লাবের পরিকাঠামো দেখতে। পেন-টোলগেদের ক্লাবের মাঠ, তাঁবু দেখে নাকি খুশি নয় প্রতিনিধি দল। এ দিকে ছোট ক্লাবগুলো এ দিন প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আলোচনায় বসে। তারা আইএফএ-কে তিনটি প্রস্তাব দেয়- কলকাতা লিগের মূল পর্বে ছ’টির বদলে আট দল তোলা, প্রিমিয়ার ডিভিশনে আরও কম ফুটবলার সই করানো, কলকাতা লিগের জন্য আলাদা মার্কেটিং টিম রাখা। |