|
|
|
|
|
|
|
গত ১৫.৫.২০০৯ সালে এক মিউনিসিপ্যালিটির অন্তর্ভুক্ত ২ কাঠা ১৫ ছটাক জমির মধ্যে ৭৭৮ বর্গফুটের এক তলা পাকা বাড়ি এক পরিবারের সাত জনের কাছ থেকে কিনেছিলাম। সেটি বাস্তু ও ভিটা জমি ছিল এবং দু’টি সাবেক দাগ নম্বর ছিল। আমার উকিলের ভুলের জন্য ভিটা জমির পরিমাণ, দাগ নম্বর এবং সাবেক দাগ নম্বরের উল্লেখ রেজিস্ট্রি পেপারে নেই। কিন্তু ২ কাঠা ১৫ ছটাক জমি যে রেজিস্ট্রি হয়েছে, তার উল্লেখ রয়েছে। মালিক হিসেবে নাম পরিবর্তনের সময়ে জানতে পারি যে, ২ কাঠা ২ ছটাকের মতো জমির নাম পরিবর্তন হতে পারে, কিন্তু বাকিটার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়।
আমার প্রশ্ন,
১) যে পরিমাণ জমি রেজিস্ট্রি পেপারে উল্লেখ নেই, তার মালিকানার নাম পরিবর্তন করা যাবে কি? কিন্তু ওই পরিবারের সাত জনকে একত্র করা সম্ভব নয়।
২) উকিলের বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব কি না?
সুভাষ নাগ, হুগলি
১) আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে, রেজিস্ট্রি করা ২ কাঠা ১৫ ছটাক জমির উল্লেখ রয়েছে দলিলে। কিন্তু ৭৭৮ বর্গফুটের যে ভিটা জমি, তার উল্লেখ রেজিস্ট্রি করার সময়ে দলিলে রাখা হয়নি। অর্থাত্ ১৩ ছটাক, যেটা সম্ভবত ভিটা জমি, তার কথা দলিলে বলা হয়নি। অথচ বাকি ২ কাঠা ২ ছটাক বাস্তু জমির উল্লেখ আছে। এখন আপনার সমস্যা এই ১৩ ছটাক জমি নিয়ে। যা আপনি কিনেছেন, কিন্তু দলিলে উল্লেখ নেই। আবার আপনি এক জায়গায় বলেছেন, ২ কাঠা ১৫ ছটাক জমি যে রেজিস্ট্রি হয়েছে, তার উল্লেখ রয়েছে দলিলে। যদিও আপনার প্রশ্ন একেবারেই পরিষ্কার নয়, তবে আমার মনে হচ্ছে ওই ২ কাঠা ১৫ ছটাক জমিকেই বাস্তু জমি হিসেবে দেখানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ডিড অফ রেক্টিফিকেশন করে যে সমস্যা বোধ করছেন, তার সমাধান করার চেষ্টা করা যেতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ওই পরিবারের যে সাত জনের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন, তাঁদের সকলেরই সই প্রয়োজন।
২) যদি দেখা যায়, উকিল স্বেচ্ছায় কোনও রকম ভুল করেননি বা উকিল দলিল তৈরির আগে আপনাকে খসড়া পড়িয়ে অথবা আপনার মতামত নিয়েছিলেন, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। কারণ আপনার ক্ষতি করে উকিল নিজের কোনও স্বার্থসিদ্ধি করেছিলেন, সেটা প্রমাণ করতে পারবেন না।
আমার দিদিমা ২০০৭-এর জুলাইয়ে মারা যান ও গড়িয়া শ্মশানে তাঁকে দাহ করা হয়। তখন ডেথ সার্টিফিকেট নেওয়া হয়নি। আমাদের কাছে শবদাহ ঘাটের কোনও নথি নেই।
১) এখন ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য কী করতে হবে?
২) যদি পুরসভা থেকে কোনও তথ্য না-পাওয়া যায়, তা হলে কী কোর্ট থেকে হলফনামা দিয়ে মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়া যেতে পারে?
শুভাশিস বসু, কলকাতা
১) আপনাকে পুরসভা থেকেই দিদিমার ডেথ সার্টিফিকেটটি নিতে হবে। এ জন্য প্রথমে পুরসভায় আবেদন করতে হবে ও তার পর নির্দিষ্ট পদ্ধতি পালন করে শংসাপত্রটি আপনাকে দিয়ে দেবে পুরসভা।
২) কোর্টে হলফনামার মাধ্যমে দিদিমা কত তারিখে প্রয়াত হয়েছিলেন, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলা যেতে পারে। কিন্তু মৃত্যুর শংসাপত্র পাওয়া মুশকিল।
|
(আইনি পরামর্শ জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়) |
|
|
|
|
|