দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে জেলা পুলিশ লাইনের ভিতরে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের দায়ে হোটেল কর্মী সঞ্জয় পাহানকে দোষীসাব্যস্ত করল আদালত। শুক্রবার বালুরঘাটের জেলা জজ মণীশঙ্কর দ্বিবেদী তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২০১২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর সকালে শহরে এক নাবালিকা নিখোঁজ হয়। পরের দিন ৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে জেলা পুলিশ লাইনের আমবাগানে তার দেহ উদ্ধার হয়। মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় পাহান নামে ২০ বছরের ওই যুবককে রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে। ধৃত যুবক পুলিশ লাইনের সামনে একটি হোটেলে কাজ করত।
সরকারি আইনজীবী উদয় ঘোষ দস্তিদার জানান, আগামী সোমবার বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করবেন। ঘটনার দিন সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই ছাত্রী। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে মেয়েটি ওইদিন সকাল ৮টা নাগাদ পুলিশ লাইনের বাগানে ডেকে নিয়ে যায় তারপরেই ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবক সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, খুন এবং প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করে আড়াই মাসের মাথায় পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ৯ মাসের মামলাটি নিষ্পত্তি হল। মামলায় মোট ৩০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
ঘটনার জেরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বাসিন্দাদের আন্দোলনে শহরে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ লাইনে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ তুলতে পুলিশকে লাঠি চালাতে হয়। ছাত্র ব্লক এবং ছাত্র পরিষদের ডাকে শহরের স্কুল কলেজে ধর্মধট পালিত হয়। জেলা কংগ্রেস থেকে ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি তোলা হয়। ঘটনার তদন্তের পর জেলা পুলিশ আদালতকে জানায়, ওই যুবকের সঙ্গে ছাত্রীর মেলামেশা ছিল। ৪ সেপ্টেম্বর ছাত্রীটিকে ওই যুবক পুলিশ লাইনের ভিতরে আম বাগানে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সরু গলির মধ্যে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাটি ঘটে। ধৃত যুবক অপরাধ স্বীকার করেছে।
|