বামফ্রন্টের আইন অমান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষে ৯ জন জখম হয়েছেন। শুক্রবার কোচবিহার কোতায়ালি থানার সুটকাবাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে। জখমদের ৫ জনকে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসার সময় তুফানগঞ্জের নাটাবাড়িতে সিপিএমের লোকাল সম্পাদক, এক নেত্রীর গাড়ি আটকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূল সমর্থকের বিরুদ্ধে। পুলিশ সুপারকে টেলিফোনে অভিযোগ জানান ওই নেত্রী যমুনা সরকার। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “নেত্রীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। সুটকাবাড়িতে পুলিশ গোলমালের তথ্য পায়নি।” |
এ দিন কোচবিহার জেলাশাসকের দফতরে আইন অমান্য কর্মসূচি নেওয়া হয়। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “পারাডুবির কর্মীদের গাড়ি থামিয়ে তৃণমূল মদত পুষ্টরা লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। ৫ জন মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে চিকিসাধীন।” তৃণমূল কোচবিহার-১ ব্লক সভাপতি খোকন মিঁয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “সিপিএম সমর্থকেরা সুটকাবাড়িতে আমাদের অফিসে পাথর ছোড়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। আমাদের ৪ জন জখম হন।”
আর নাটাবাড়ির সিপিএম নেত্রীর গাড়ি আটকানোর কোনও ঘটনা জানা নেই বলে জানিয়েছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, প্রশাসন ১০ হাজার কর্মী সমর্থককে কর্মসূচিতে গ্রেফতারের কথা ঘোষণা করেছেন।
শিলিগুড়িতে রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য, উজ্জ্বল চৌধুরী, জীবেশ সরকার, তাপস গোস্বামীর মত বাম নেতারা কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন। বাম কর্মী সমর্থকেরা মাল্লাগুড়ি থেকে হিলকার্ট রোড হয়ে শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে মিছিল করে আসেন। তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে আদালতের সামনে সভাও করেন। অশোকবাবু বলেন, “আমাদের প্রায় ১০ হাজার কর্মী সমর্থক অংশ নেন।” এ দিন দার্জিলিঙেও প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ সমন পাঠক ও কৃষ্ণ বাহাদুর ওয়াতারের নেতৃত্বে দার্জিলিঙে জেলা শাসকের দফতরের সামনে আইন অমান্য করেন বাম সমর্থকেরা। ৩০০ সমথর্ককে গ্রেফতার করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে জেলাশাসকের দফতরের সামনে শুক্রবার বামফ্রন্টের আইন অমান্য আন্দোলন হয়। নেতৃত্বে সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস, জেলা সম্পাদক মানবেশ চৌধুরী। পুলিশ দু’হাজার কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করে ব্যক্তিগত জামিনে ছেড়ে দেয়। উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জ কর্ণজোড়ায় জেলাশাসকের দফতরে বাম কর্মী সমর্থকরা জোর করে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধ্বস্তাধস্তি হয়। কর্মসূচিতে সিপিএমের জেলা সম্পাদক বীরেশ্বর লাহিড়ী ছাড়াও সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদক সমর ভৌমিক, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্রীকুমার মুখোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন। মালদহ, জলপাইগুড়িতে আইন অমান্য হয়েছে। আলিপুরদুয়ারের আরএসপির সাংসদ মনোহর তিরকে ছিলেন।
|