|
|
|
|
রায়গঞ্জে বিপাকে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারা |
বই আসেনি পাঁচ মাসেও
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
শিক্ষাবর্ষ শুরুর পাঁচ মাস পরেও উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সরকারি বই পৌঁছয়নি। কয়েক দিন আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর ইউনিট টেস্ট নেওয়া হয় বাংলা বিষয় ছাড়া। দ্রুত বই পাঠানো না হলে পরবর্তীতেও বাংলা পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন। তাঁদের অভিযোগ, একাধিক বার জেলা শিক্ষা দফতর, প্রশাসনকে বলে লাভ হয়নি।
প্রধান শিক্ষিকা লাবণী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত জানুয়ারি মাসে শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে। কিন্তু সরকারি বাংলা বই হাতে না-পাওয়ায় পঞ্চম শ্রেণির ২৮০ জন ছাত্রীর বাংলা ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ওই কারণে বাংলা ছাড়া বাকি বিষয়গুলিতে ইউনিট টেস্ট নেওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা দফতর ও প্রশাসনকে স্কুলের পক্ষ থেকে সমস্যার কথা জানিয়ে লাভ হয়নি।” জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক সুবল সাহু বলেন, “কেন এখনও ওই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বই পৌঁছয়নি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। মনে হচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্কুলের পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ার জন্য পর্যাপ্ত সরকারি বই সরবরাহ না হওয়ায় ওই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।” ঘটনার খবর পেয়ে জেলাশাসক পাসাং নরবু ভুটিয়া বলেন, “জেলার বিভিন্ন সরকারি স্কুলে কত পরিমাণ সরকারি বইয়ের চাহিদা রয়েছে তা প্রশাসনের তরফে রাজ্য শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়েছে।”
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, জেলার ৩২৭টি হাই স্কুল ও জুনিয়র হাই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। চাহিদা অনুযায়ী রাজ্য শিক্ষা দফতরের পক্ষে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে কয়েক দফায় পঞ্চম শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের বই জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় দফতরে পাঠানো হয়। কিন্তু কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বই না পৌঁছনোয় যত বিপত্তি দেখা দিয়েছে। শিক্ষক সংগঠন এসটিএর জেলা সম্পাদক তিলকতীর্থ ভৌমিক বলেন, “পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। ওই স্কুলে দ্রুত বই সরবরাহ করা না হলে সংগঠনের পক্ষে আন্দোলন শুরু হবে। এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র বলেন, “২৭ এপ্রিল সংগঠনের তরফে লিখিত ভাবে কালিয়াগঞ্জ মিলনময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সমস্যার কথা জেলা শিক্ষা দফতরে জানানো হয়েছে। জুনে বই সরবরাহ না-হলে জেলা শিক্ষা দফতর অচল করার আন্দোলন হবে।” |
|
|
|
|
|