গরুবাথানে নিজের বাড়ি ফিরলেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা খুশনারায়ণ সুব্বা। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা নাগাদ পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে গরুবাথানে পৌঁছন তিনি। উল্লেখ্য, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উত্থানের পর এক সময়কার জিএনএলএফ নেতা, গোর্খা পার্বত্য পরিষদের কাউন্সিলর খুশনারায়ণ পাঁচ বছর ধরে শিলিগুড়িতে বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। গত বছর শিলিগুড়ি থেকেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
২২ মে থেকে তিনি গরুবাথানে ফেরার চেষ্টা করেন। এলাকার তৃণমূল নেতারাও ওই নেতাকে গরুবাথানে ফেরানোর ঘোষণা করে দেন। কিন্তু গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বাধায় তিনি সেই সময় গরুবাথানে ঢুকতে পারেনি। ওই দিনভর রাস্তা আটকে রাখা হয়। রাতে তার বাড়িতে মোর্চা সমর্থকেরা ভাঙচুর চালানো বলে অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ৮ জন মোর্চা সমর্থককে রড এবং ধারাল অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করে। এর এক দিন পর ২৩ মে ওই নেতার গরুবাথানের পৈতৃক বাড়িটি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মোর্চা নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হন গরুবাথানের জিটিএ সদস্য তথা মোর্চা নেতা চন্দ্র ইয়ংজংকে। পাহাড়ে আন্দোলনের ডাক দেন মোর্চা। দলের তরফে জানানো হয়, খুশনারায়ণবাবু গরুবাথানে ঢুকলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে। সেই কারণেই সাধারণ বাসিন্দারা ওঁর বাড়িতে ফেরায় বাধা দিয়েছিলেন।
টানা বন্ধের হুমকি দিয়েও পিছিয়ে এসে পরে অবশ্য অনশন আন্দোলন এবং সরকারি দফতরে কর্মবিরতি শুরু করে মোর্চা। এর পর থেকেই ওই তৃণমূল নেতা মালবাজারে একটি হোটেলে থাকা শুরু তরে। বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ পাহারায় তিনি গরুবাথানে ঢোকেন। এমনকি, বাড়ির বাইরে এবং ভিতরেও পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন হয়েছে। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “ওই নেতার নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে। গরুবাথানের পরিস্থিতি মাথায় রেখে আরও পুলিশ এলাকায় পাঠানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরে স্বভাবতই খুশি খুশনারায়ণ সুব্বা। তিনি বলেন, “গরুবাথানে মানুষ আমাকে ভালবাসে। তাই মোর্চা আমাকে ঢুকতে দিতে ভয় পাচ্ছিল। এ বারে পুরোদমে এলাকায় দলের সংগঠনের কাজ করব।” দলের কালিম্পং মহকুমা তৃণমূল সহ-সভাপতি কৃষ্ণ অধিকারি জানান, “খুশনারায়ণবাবু গরুবাথানে ফেরায় কালিম্পঙ মহকুমায় সংগঠন মজবুত হবে।” ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি ফেরা নিয়ে মন্তব্য করছে না মোর্চা। দলের সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “আর এই নিয়ে আমরা কোনও কথা বলতে চাই না।”
|