নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
জিএনএলএফ থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া খুশনারায়ণ সুব্বা বৃহস্পতিবারে গরুবাথানে ঢুকতে পারলেন না। এদিন সকাল থেকে গরুবাথানে র্যাফ এবং প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়। কোনও দল, সংগঠন দাবি না করলেও এ দিন গরুবাথানে কার্যত বন্ধ পালন হয়। দোকানপাট, বাজার বন্ধ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকায় গোলমাল এবং তৃণমূল নেতার বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ১৪ জন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাঁদের হেফাজত থেকে রড এবং ধারাল অস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গ্রেফতারের ঘটনার পরই গরুবাথান জুড়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। মোর্চার নাম না করে গরুবাথান জুড়ে গ্রেফতার যুবকদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে পোস্টারও পড়তে শুরু করে।
দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুনাল অগ্রবাল বলেন, “বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কয়েকজন মোর্চা সমর্থককে ধরা হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।” তৃণমূল কংগ্রেসের কালিম্পং মহকুমার সহ-সভাপতি কৃষ্ণ অধিকারী গত বুধবার পুলিশে গরুবাথানে খুশ নারায়ণ সুব্বার বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা খুশ নারায়ন সুব্বাকে নিয়ে গরুবাথানে ঢুকতে বদ্ধপরিকর। অশান্তি চাই না বলে চুপচাপ আছি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। ধৃত সকলেই মোর্চার সক্রিয় কর্মী।”
গরুবাথান এলাকার জিটিএ সদস্য চন্দ্র ইয়ংজং জানান, সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করছেন। তাঁরা দোকান-পাট বন্ধ রেখেছেন। গরুবাথানে খুশনারায়ণ সুব্বার ঢোকা মানেই অশান্তি হবে। সাধারণ মানুষ তাই প্রতিবাদ করছেন। পুলিশ এক তরফা ভাবে কাজ করছে। এ দিন যাঁদের ধরা হয়েছে সকলেই সাধারণ বাসিন্দা। জিএনএলএফ নেতা খুশনারায়ন সুব্বা এক সময় গোর্খা পার্বত্য পরিষদেরও কাউন্সিলর ছিলেন। মোর্চার উত্থানের পরে তিনি গরুবাথান ছেড়ে শিলিগুড়িতে চলে যান। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়ে তিনি গরুবাথানে ফিরতে চাইচিলেন। গত বুধবার তাঁকে মিছিল করে তৃণমূল কর্মীরা গরুবাথানে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করেন। কিন্তু মোর্চা সমর্থকদের বাধায় তা হয়নি। এ দিন খুশ নারায়ণ সুব্বা বলেন, “বাধা দিয়ে আমাকে রোখা যাবে না। আমি এলে মোর্চার ‘দাদাগিরি’ বন্ধ হয়ে যাবে বুঝেই মোর্চা নেতারা এখন এই সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছেন।
|