আইএসআই চর সন্দেহে আরও এক সেনা কর্মীকে ধরল দার্জিলিং জেলা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ আজাদ নামে ওই সেনা কর্মীকে বৃহস্পতিবার এনজেপি যাওয়ার পথে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেনাবাহিনীর নথি পাচারের অভিযোগ উঠেছে আজাদের বিরুদ্ধে। আরও কয়েক জনকে আটক করে জেরা করে পুলিশ। এ দিন কার্শিয়াং থানায় মহম্মদ আজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন সুকনা সেনা ছাউনির কয়েকজন আধিকারিক। দার্জিলিঙের পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “আজ, শুক্রবার কার্শিয়াঙ আদালতে ধৃত আজাদকে পেশ করা হবে।”
২০০২ সালে শিলিগুড়ি থেকে আইএসআই চর সন্দেহে মহমম্দ দিলসাদকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে সময় আজাদও গ্রেফতার হন। ৮ বছর জেল খাটার পর দুই জনই মুক্তি পান। আদালতের নির্দেশে চাকরি ফিরে পান আজাদ। তার পর থেকে তিনি ফের সেনা বাহিনীর গাড়ির সাফাই কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি সুকনা, নকশালবাড়ি থেকে আইএসআই চর সন্দেহে ৪ জনকে গ্রেফতার হওয়ার পরেই ফের আরও এক সেনা কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তদন্তে নেমেছে সেনা কর্তৃপক্ষ। সেনা বাহিনী সূত্রের খবর, আজাদ ১৯৯০ সালে সেনাবাহিনীতে সাফাই কর্মী হিসাবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি মাটিগাড়ার খাপরাইল মোড়ে থাকতেন। তিনি বেশ কিছু গোপন নথি সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ছবি পাচার করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদিকে, আইএসআই-র সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নকশালবাড়ির এক ব্যবসায়ীর নাম পুলিশ পেয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে নিজের ছবিও ওই ব্যবসায়ী বিভিন্ন এলাকায় দেখাতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, “ওই ব্যক্তির দলের সদস্যপদও নেই।” তৃণমূলের মিছিল, সভায় ব্যবসায়ীকে দেখতে পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে মন্ত্রী বলেন, “সভা, মিছিলে অনেকে যোগ দেন। দলের সঙ্গে তাঁদের সকলের সম্পর্ক রয়েছে এমন ভাবাটা বোধহয় ঠিক নয়।”
|