আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র তোলা ও জমা দেওয়াকে ঘিরে হুগলির নানা জায়গায় ইতিমধ্যেই শাসক দলের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। শুক্রবার হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দা জানিয়েছেন, যে সব জায়গায় ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠবে, মনোনয়নপত্র তোলা বা জমা দেওয়ার সময়ে সেই সব ক্ষেত্রে প্রার্থীদের পুলিশি প্রহরা দেওয়া হবে।
দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিশ্চিত করতে শুক্রবার আইন অমান্য কর্মসূচির পর সিপিএম নেতারা জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন। তাঁদের অভিযোগ, জেলা জুড়ে শাসক দল নানা জায়গায় যে পরিস্থিতি তৈরি করছেন, তাতে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন না বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন। ধনেখালি, হরিপাল, তারকেশ্বর, আরামবাগ, পুড়শুড়ায় দলীয় প্রার্থীদের মারধর করা হচ্ছে। যার জেরে অনেকেই এ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। এই পরিস্থিতির বদল না হলে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতেই পারবেন না বলে তাঁদের অনুমান। আরও অভিযোগ, শুধু মারধরই নয়, বহু ক্ষেত্রে স্থানীয় নেতাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে থানায়। যাতে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। তা হলে তাঁরা আর নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সামিল হতে পারবেন না। এ সব শোনার পরেই জেলাশাসকের কাছ থেকে প্রার্থীদের জন্য পুলিশি প্রহরার আশ্বাস পান বলে সিপিএম নেতাদের দাবি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, “খানাকুলের পলাশপাই এলাকায় আমাদের এক প্রার্থীকে শুক্রবার বেধড়ক মারধর করা হয়। অন্য এক জনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না তাঁর। এটা কোনও খণ্ডচিত্র নয়। এটাই জেলার সার্বিক চিত্র।”
তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, “জেলায় সে ভাবে কোনও গণ্ডগোল নেই। আমরা কর্মীদের সংযত থাকতেই বলেছি। হরিপালে বৃহস্পতিবার সিপিএমের হাতে আমাদের কর্মীরাই মার খেয়েছেন।”
প্রশাসনের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থাও নিচ্ছে। জেলাশাসক এ দিন বলেন, “শুক্রবার পর্যন্ত সারা জেলায় চারটি অভিযোগ জমা পড়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। তার রিপোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।”
|