নিজস্ব সংবাদদাতা • হরিপাল |
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে বুধবার রাজনৈতিক অশান্তি হয়েছিল আরামবাগে। বৃহস্পতিবার তপ্ত হল হরিপাল। ব্লক অফিসের সামনে সিপিএম এবং তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় ইট ছোড়াছুড়ি। তাতে দু’পক্ষের অন্তত ৪০ জন জখম হন। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ আসে। ইটের ঘায়ে হরিপালের ওসি বঙ্কিম বিশ্বাস-সহ পাঁচ পুলিশকর্মীও জখম হন। পরে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র তুললেও সিপিএম প্রার্থীরা তা না তুলেই ফিরে যান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার মনোনয়নপত্র তোলার প্রথম দিন ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন শুধু তৃণমূল প্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ চন্দনপুর, কৈকালা এবং আশুতোষ পঞ্চায়েতের তৃণমূল ও সিপিএম প্রার্থীরা দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে দু’টি রাস্তা ধরে ব্লক অফিসে আসেন। গেটের সামনে দু’পক্ষ মুখোমুখি হতেই বচসা বাধে। তার পরই শুরু হয় ইট ছোড়াছুড়ি। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গোলমাল চলে। দু’পক্ষই লাঠিসোটা জোগাড় করে ফেলে। কিন্তু অশান্তি তার পরে আর বাড়েনি। বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহতদের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। |
সিপিএমের হরিপাল জোনাল কমিটির সম্পাদক দুলাল ভৌমিক বলেন, “তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্যই আমরা মনোনয়নপত্র তুলতে পারলাম না। পুলিশের মদতে হামলা চালানো হল। আমাদের ২০ জন জখম হয়েছেন।” তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’ এবং পুলিশের ‘নিষ্ক্রিয়তা’র প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার বামফ্রন্টের তরফে চুঁচুড়ায় আইন-অমান্য কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার দায় সিপিএমের উপরেই চাপিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতা সমীরণ মিত্রের দাবি, “আগে থেকেই ব্যাগে ইট-পাথর নিয়ে ব্লক অফিসের সামনে সিপিএমের ছেলেরা জড়ো হয়েছিল। আমরা পৌঁছতেই ওরা ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। আমাদের জনা কুড়ি কর্মী-সমর্থক জখম হন। আত্মরক্ষায় আমাদের ছেলেরা তখন পাল্টা প্রতিরোধ করে।”
ঘটনাটির ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে চন্দননগরের মহকুমাশাসক বিশ্বনাথ বলেন, “গোলমালের আশঙ্কায় ওখানে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনকে আগে থাকতেই সতর্ক করা হয়েছিল। সে কারণেই গোলমাল বেশি দূর গড়ায়নি।”
|