নতুন এক্স-রে মেশিন আসছে কলকাতা বিমানবন্দরের জন্য। নতুন টার্মিনালে যে কনভেয়ার বেল্ট বসানো হয়েছে, তার সঙ্গে বসানো হবে এই এক্স-রে মেশিনগুলি।
বাইরের শহর থেকে বিমানে করে যাত্রীরা যখন কলকাতায় এসে পৌঁছন, তখন এই কনভেয়ার বেল্ট মারফত তাঁদের ব্যাগ চলে আসে টার্মিনালে। আন্তর্জাতিক যাত্রীদের ক্ষেত্রে কনভেয়ার বেল্টেই ব্যাগ এক্স-রে হয়ে যায়। জানা যায়, যাত্রীর ব্যাগে আপত্তিকর কিছু রয়েছে কি না। কলকাতার নতুন টার্মিনালে আন্তর্জাতিক স্তরে মোট ৬টি কনভেয়ার বেল্ট থাকলেও এত দিন সেখানে মাত্র দু’টির সঙ্গে এক্স-রে মেশিন বসানো ছিল। এর ফলে, বাকি চারটি কনভেয়ার বেল্ট ব্যবহারই করা যাচ্ছিল না। মাঝেমধ্যে একসঙ্গে দু’তিনটি উড়ানের যাত্রীরা নামার পরে দু’টি বেল্টের সামনে ভিড় করতে বাধ্য হতেন তাঁরা। অনেক সময়ে ব্যাগ পেতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছিল তাঁদের। |
সম্প্রতি এ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে চিঠি লিখেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যানও। কেন্দ্রের অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী নমনারায়ণ মীনা সৌগতবাবুকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, কলকাতার জন্য নতুন আরও সাতটি এক্স-রে মেশিন পাঠানো হচ্ছে। যত দিন না সেগুলি আসছে তত দিন কলকাতার পুরনো টার্মিনালের কনভেয়ার বেল্ট থেকে এক্স-রে মেশিন খুলে তা নতুন টার্মিনালে বসানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
সৌগতবাবু বলেন, “সম্প্রতি আমি নতুন টার্মিনাল পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি দেখতে পাই। সেই সময়ে অনেক যাত্রীই আমাকে অভিযোগ করেন, ব্যাগ পেতে আধ ঘণ্টা, কখনও এক ঘণ্টাও লেগে যাচ্ছে। তার পরেই আমি চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নিই।” কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে ৭৬টি এক্স-রে মেশিন কেনা হবে। তবে সেগুলি হাতে আসতে প্রায় ছ’মাস লেগে যেতে পারে। তাই কলকাতায় ততক্ষণ পর্যন্ত পুরনো টার্মিনালের এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। |
তবে শুধু এক্স-রে মেশিন নয়। আগের তুলনায় কনভেয়ার বেল্টের গতিও অনেক কমে গিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, আধুনিক এই মেশিনে দু’টি ব্যাগ কাছাকাছি চলে এলেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মেশিন। ফলে, যে কর্মীরা বিমান থেকে যাত্রীদের ব্যাগ নামিয়ে এই কনভেয়ার বেল্টে তুলে দেন, তাঁদের সঠিক প্রশিক্ষণেরও দাবি উঠেছে।
আহত ২ শ্রমিক। কলকাতা বিমানবন্দরের নয়া টার্মিনালের এক দিক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করছেন যাত্রীরা, অন্য দিকে চলছে শেষ পর্বের কাজ। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেখানেই সিঁড়িতে উঠে কাজ করার সময়ে সিঁড়ি ভেঙে পড়ে আহত হন দুই শ্রমিক। পুলিশ জানায়, আহতদের নাম কানাই মণ্ডল ও শুভঙ্কর সরকার। বারাসতের বাসিন্দা ওই দুই ব্যক্তিই বিদ্যুৎ-মিস্ত্রি। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাঁদের। এর মধ্যে কানাইবাবুর আঘাত গুরুতর। তাঁর বুকের ও কোমরের হাড় ভেঙে গিয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, নতুন টার্মিনালের ভিতরে ২৩ নম্বর ডিপার্চার গেটের কাছে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত কাজ করছিলেন ওই দুই ব্যক্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি সিঁড়িতে উঠে প্রায় ২০ ফুট উপরে কাজ করার সময়ে সিঁড়ি ভেঙে পড়ে যান তাঁরা। প্রশ্ন উঠেছে, কী ভাবে ভেঙে গেল সিঁড়িটি? যে ঠিকাদার সংস্থা এই কাজ করছে, তাদের দিকে গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। সংস্থাটির তরফে অবশ্য কোনও মন্তব্য করা হয়নি। |