আনন্দবাজার পত্রিকা

বেটিংয়ে টেনেছিলেন বিন্দুই, দাবি গুরুনাথের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুম্বই

বিন্দু দারা সিংহই তাঁকে লোভ দেখিয়ে বেটিংয়ে জড়িয়েছিলেন বলে দাবি করলেন গুরুনাথ মায়াপ্পন। আজ বিন্দুর মুখোমুখি বসিয়ে আরও এক দফা জেরা করা হয় তাঁকে। সেই জেরায় গুরুনাথ বিন্দুর ঘাড়েই দোষ চাপিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের একটি সূত্র। বিন্দুর সঙ্গে গুরুনাথের টেলি-কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে পুলিশের কাছে। তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে গুরুনাথের কণ্ঠস্বরের নমুনা নেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে আজ শ্রীসন্ত-চহ্বাণ- চান্ডিলা-সহ ধৃত ৯ জনকে আদালতে তোলা হয়। শ্রীসন্ত ও চান্ডিলাকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। অঙ্কিত ও বুকি জিজু জনার্দন-সহ পাঁচ জনকে আপাতত হেফাজতে নিয়ে জেরার দরকার নেই বলে পুলিশ জানায়। তাঁদের ৪ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়।

কোর্টে হাজিরা দিয়ে বেরিয়ে পুলিশের গাড়িতে শ্রীসন্ত। রবিবার নয়াদিল্লিতে। ছবি: পি টি আই

এ দিনই চণ্ডীগড়ে রাজস্থান রয়্যালসের টিম হোটেলের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে ধরা পড়েছে জিজু জনার্দন ও বেশ কিছু রহস্যজনক নারী-পুরুষের সঙ্গে শ্রীসন্ত-অঙ্কিতের রাতভর আড্ডা। তারিখটা ছিল ৯ মে। সে দিনই চণ্ডীগড়ে কিংস ইলেভেনের সঙ্গে ম্যাচ জেতে রাজস্থান। এ সেই ম্যাচ, যেখানে শ্রীসন্ত কোমরে তোয়ালে গুঁজে স্পট ফিক্সিং করেন বলে অভিযোগ।
রাত ৯টা নাগাদ হোটেলে ফিরে এসেছিল রাজস্থান টিম। তার পর মোটামুটি সওয়া ১০টা থেকে ঘরের সামনের করিডরে আড্ডা বসান শ্রীসন্ত-অঙ্কিত। এক সময় সেই আড্ডায় উদয় হয় গোলাপি টি শার্ট পরা জিজু। দীর্ঘক্ষণ দেখা যায় কালো পোশাক পরা এক মহিলাকেও। রাত এগারোটা নাগাদ সেই মহিলা ও অঙ্কিতকে নিয়ে শ্রীসন্ত বেরিয়ে যান। ঘণ্টা তিনেক পরে যখন ফেরেন, তখন কেরলের পেসারের সঙ্গে এঁটে রয়েছেন অন্য এক মহিলা। কিছু পরে শ্রীসন্ত-অঙ্কিত নিজেদের ঘরে ঢুকে যান। যদিও ভোরেই তাঁদের ফের দেখা যায় করিডরে। শ্রীসন্তের হাতে একটা প্যাকেটও ছিল। পুলিশের দাবি, পাশে অন্য একটি হোটেলে উঠেছিল আরও দু’জন বুকি। ওই হোটেলেরও সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হবে। বেটিংয়ের নিন্দা করে এ দিন ব্লগে মুখ খুলেছেন আডবাণীও।

পুরনো খবর: কেঁদে ফেললেন শ্রীসন্ত, অঙ্কিতও

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.