|
|
|
|
‘ভাবিজি’ আর ‘ভাই’, দু’জনের মাঝে দোটানায় শাহরুখ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বুকে আটকানো বেগুনি রংয়ের রুমাল। পকেট থেকে বার করলেন আরও দুটো। একটা হলুদ, একটা নীল।
তাঁর দল আজ আর ফাইনালে নেই। কিন্তু নাইটদের বেগুনি রং বুকে করেই নিয়ে এসেছেন শাহরুখ খান। কিন্তু ফাইনালে কাকে সমর্থন করছেন? ইডেনে নয়। মুম্বইয়ে স্টুডিওয়ে বসে শাহরুখ বললেন, “একটা দলে আমার ভাবিজি আছেন, অন্য দলটায় আমার ধোনি ভাই আছে। তাই আমার কাছে কোনও একটা দল বেছে নেওয়া একটু কঠিন। আমি একটা কাজ করব। যারা জিতবে তাদের রংয়ের রুমালটা চুপচাপ বুকে আটকে নেব।”
আর আপনাকে যদি বলা হয় মুম্বইকে কিছু পরামর্শ দিন, তা হলে কী বলবেন? শাহরুখের জবাব, “আমার একটাই টিপস। মাঠে যাও। বেশ কয়েকটা চার-ছয় লাগাও। ট্রফিটা বাড়ি নিয়ে এসো।” |
|
খুব চেয়েছিলেন, নাইট রাইডার্স যেন ইডেনে ফাইনালটা খেলে। কাঁটাটা যে এখনও খচখচ করছে, বোঝা গেল, যখন শাহরুখ বলে ফেললেন, “নাইট রাইডার্স প্লে অফে খেলেনি তো কী হয়েছে? সব দেবদাসের কাছে তো একটা করে বিয়ার বার রয়েছে!”
কিন্তু শাহরুখকে কেন এ বার দুটো বাদে কেকেআরের আর কোনও ম্যাচে দেখা যায়নি? “আমার সামনে দুটো রাস্তা ছিল,” টিভি শোয়ে বলছিলেন কেকেআর মালিক, “আমার সিনেমার শ্যুটিং চলছিল। চোটও পেয়ে যাই। আমি মাঠে আসতে পারতাম ঠিকই, তারপর দেখলাম আমি খেলা দেখতে না এলেও দর্শকরা আইপিএলটা উপভোগ করবে। তাই শ্যুটিংটা শেষ করারই সিদ্ধান্ত নিই।” |
|
পুরো আইপিএল দেখার পর কোন কোন প্লেয়ার আপনার নজর টানল? দু’জনের নাম করছেন ‘কিং খান’। প্রথম জন ডেভিড মিলার। “মিলারকে দেখে খুব সহজ সরল ছেলে বলে মনে হয়। তবে বলটা বড্ড জোরে মারে। খুব ক্লিন হিটার। গেইলকে দেখার পর আমাদের এত দিন মনে হত, ছ’ফুট চার-পাঁচ ইঞ্চি না হলে বোধহয় অতদূর বল পাঠানো যায় না। কিন্তু মিলার সেই ধারণাটা ভেঙে দিয়েছে।”
দ্বিতীয় জন কেকেআরের সুনীল নারিন। তাঁর দলের ‘মিস্ট্রি স্পিনার’ নিয়ে শাহরুখের বক্তব্য, “এও খুব সাদাসিধে। মাঠে নামে, নিজের কাজটা করে, বাড়ি চলে যায়। উইকেট নিলেও মুখের যে ভাব, ছয় খেলেও তাই। আপাদমস্তক পেশাদার। এই পেশাদারিত্বটাই আমার দারুণ লাগে।” |
|
|
|
|
|