মালদহের নওদা যদুপুর এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লুঠে জড়িত সন্দেহে তিন জনকে পুলিশ ধরেছে। মঙ্গলবার রাতে কালিয়াচকের জালালপুর এলাকায়। ধৃতদের নাম মামদুর রহমান, সাহিদ শেখ ও মাজনুর হোসেন। এর মধ্যে মামদুর জালালপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি তথা জালাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান খেজামুদ্দিন আহমদের ভাগ্নে। মাজনুর মামদুরের ভগ্নিপতি। তাদের বাড়ি জালালপুর এবং বরানগরে।
জেলা পুলিশ পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’লক্ষ টাকা পুলিশ উদ্ধার করেছে। মূল পান্ডার খোঁজ চলছে। সে একাধিক বাস ডাকাতি ও ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত।” পুলিশ জানায়, গত ১৪ মে দুপুর আড়াইটা নাগাদ নওদা যদুপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার ট্যাক্সি করে ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে মালদহ যাচ্ছিলেন। সেই সময় গাড়িটি দাঁড় করিয়ে দুষ্কৃতীরা টাকা লুঠ করে পালায়। ছ’জনের দলটি ট্রাঙ্কভর্তি টাকা লুঠ করে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে একটি তুঁতের বাগানে আশ্রয় নেয়। পুলিশ পিছু নিয়েও ধরতে পারেনি। ট্রাঙ্কটি ভাঙার পর দলটি টাকা নিয়ে ফতেখানিতে মামদুর রহমানের ভগ্নিপতি মাজনুর শেখের আমবাগানে আশ্রয় নেয়। সেই আমবাগানে ডাকাতরা লুঠের টাকা ভাগ করে। মামদুর দুই লক্ষ টাকা ভাগ পায়। টাকা ভগ্নিপতির বাড়িতে রেখে মামদুর বাড়িতে চলে যান।
পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির পর দিন থেকে মামদুর থানার আশেপাশ ঘোরাঘুরি শুরু করে। ডাকাতির ঘটনায় তার নাম আছে কী না তা জানার জন্য একটি হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। ওই চিকিৎসক খোঁজ দেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। পুলিশ বিষয়টি জানতে পারে। টাকা দেওয়ার সময় পুলিশ মামদুরকে পুলিশ গ্রেফতার করে। একে একে বাকি দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়। মাজনুর হোসেনের বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধার হয়। ডাকাতির ঘটানায় ভাগ্নেকে পুলিশ গ্রেফতার করায় জালালপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি তথা জালাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান খেজামুদ্দিন আহমেদ বলেন, “মালদহে ছিলাম না। অনুমান, ভাগ্নেকে ডাকাতির মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”
|