পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠেছে মালদহের হীরাপুরে। বুধবার বিকেলে একটি ভুট্টা খেত থেকে এগারো বছরের ওই বালিকার বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ও গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, তার মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশের অনুমান, তাকে ধর্ষণের পরে বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।
ইংরেজবাজারের হীরাপুরেই বাড়ি ওই বালিকার। বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। তারা চার ভাইবোন। বাবা রাতে ওই এলাকারই একটি আমাবাগানে পাহারাদারের কাজ করেন। ভাইবোনেরা দিনের বেলায় সেই আমবাগানই পাহারা দিত। এ দিনও দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ দাদাকে নিয়ে ওই বালিকা আমবাগানে পাহারা দিতে যায়। সেই সময় ওই ছাত্রীর চার বন্ধুও বাগানে খেলছিল। বেলা ১টা নাগাদ পাশের বাগানের কর্মী পিন্টু চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে অন্য একটি বাগানে কাজের কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়।
কিন্তু ঘণ্টাখানেক পরেও সে ফিরে না আসায় তার বন্ধুরা তাদের বাড়িতে গিয়ে সে কথা জানায়। শুরু হয়ে যায় খোঁজাখুঁজি। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তল্লাশি পরে এলাকার একটি ভুট্টা খেত থেকে ওই বালিকার দেহ গ্রামবাসীরা উদ্ধার করেন।
এরপরেই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। গ্রামবাসীরা ওই ছাত্রীর দেহ আটকে রেখে প্রায় ঘন্টাখানেক বিক্ষোভ দেখান। মৃতার বাবা বলেন, “আমার মেয়েকে যে এ ভাবে খুন করেছে তার কড়া শাস্তি চাই।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় নিজে ঘটনাস্থলে চলে যান। অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দেওয়ার পরে বিক্ষোভ ওঠে। ওই বালিকার দেহ ময়নাতদন্ত করতে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করতে পুলিশকে বলেছি।”
তদন্তে নেমেই পুলিশ ওই বালিকার বন্ধুদের কাছ থেকে অভিযুক্তের নাম জানতে পারে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি যদুপুরের লাখাট্টি গ্রামে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে তাকে না পেয়ে তার বাবাকে আটক করা হয়। |